বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নড়াইলে শহীদ তিন পরিবারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঈদ উপহার সামগ্রী ও অর্থ সহায়তাসহ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭মার্চ) দুপুরে শহীদ জিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারের কাছে এ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।

জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শহীদ সালাউদ্দিন সুমন, শহীদ সাঈদ মিথুন মোরশেদ ও শহীদ রবিউল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী গ্রহণ করা হয়। উপহার পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শহীদ সালাউদ্দিন সুমনের ভাই মিন্টু আহমেদ। 

উপহার সামগ্রী নিয়ে নড়াইলে আসেন জিয়া ফাউন্ডেশনের ডা.

এ এস গাজী, ডা. নাসিম জামান রিফাত ও ডা. আলাউদ্দিস মামুন। জিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভবিষ্যতে এ সকল শহীদ পরিবারকে সবধরনের সহযোগিতা করবে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খন্দকার মনজুরুল সাঈদ বাবু প্রমুখ।

ঢাকা/শরিফুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ