সহযোগী পুলিশ হচ্ছেন ডাকাত ধরা ছয় নিরাপত্তাকর্মী
Published: 27th, March 2025 GMT
রাজধানীর ধানমন্ডিতে ‘অলংকার নিকেতন’ জুয়েলার্সের মালিক এম এ হান্নান আজাদের বাসায় ডাকাতির সময় ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করে পুরস্কার পেয়েছেন ছয় নিরাপত্তাকর্মী। এ ছাড়া সাহসিকতার জন্য তাদের পুলিশের অক্সিলিয়ারি ফোর্স বা সহযোগী পুলিশ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
পুরস্কার পাওয়া ছয় নিরাপত্তাকর্মী হলেন– স্বপন ভূঁইয়া, মো.
রাজধানীর ধানমন্ডি ৮ নম্বর সড়কে বুধবার ভোরে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গলিতে ছয়তলা একটি ভবনে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভবনটিতে থাকা বাড়ি, স্বর্ণালংকারের দোকান ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ডাকাতরা প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতির একপর্যায়ে পুলিশের ওপরও হামলা করা হয়। ভবনটির মালিক এম এ হান্নান আজাদ। ডাকাতির সময় এম এ হান্নানকে জোর করে নিচে নিয়ে গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করে ডাকাতরা। এ সময় পাশের নির্মাণাধীন ভবনের ছয় নিরাপত্তাকর্মী চার ডাকাতকে ধরতে পুলিশকে সহায়তা করেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ও পালিয়ে যাওয়া আটজনসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করা হয়। পরে বুধবার রাতে হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া মোট ছয়জন হলেন– ফরহাদ বিন মোশারফ, ইয়াছিন হাসান, মোবাশ্বের আহাম্মেদ, ওয়াকিল মাহমুদ, আবদুল্লাহ ও সুমন। তাদের কাছ থেকে র্যাব লেখা জ্যাকেট, টুপি, মাইক্রোবাস, মোবাইল ফোন ও ৪৫ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরের সেই বিদ্যালয়টি অবশেষে ভেঙেই পড়ল পদ্মা নদীতে
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের ১৫১ নম্বর উত্তর মাথাভাঙা মান্নান সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি পদ্মা নদীতে ভেঙে পড়েছে। বিলীন হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ জমি। বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবন নদীতে বিলীন হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার বিকেলে ভবনটির একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়ে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়ন পদ্মা নদীর চরে অবস্থিত। ইউনিয়নটির একদিকে মুন্সিগঞ্জ ও আরেক দিকে চাঁদপুর জেলা। ওই এলাকাটির চার দিক দিয়ে পদ্মা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাথাভাঙা চরবানিয়াল গ্রামে ৪০০ পরিবারের বসবাস। ওই গ্রামের বাসিন্দারা নদীতে মাছ শিকার ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁদের মধ্যে পড়ালেখার আগ্রহ কম। এ ছাড়া গ্রামটিতে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না। ২০১৭ সালে ওই গ্রামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করে সরকার। পরের বছর ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়। একতলা একটি পাকা ভবনের চারটি কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলছিল। সোমবার বিকেলে বিদ্যালয় ভবনের একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুনযেকোনো সময় পদ্মায় বিলীন হতে পারে শরীয়তপুরের বিদ্যালয়টি১৯ ঘণ্টা আগেবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকেরা জানান, ২০২৩ সালে বিদ্যালয়টি পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে। এ বছরের জুন মাসে সেই বালুর বস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভবনটি রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিদ্যালয় ভবনটি ভাঙনের মুখে পড়লে ৪ সেপ্টেম্বরের থেকে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। রোববার বিদ্যালয়ের আসবাব ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে উত্তর মাথঅভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে