বন্দরে স্বদেশ বাস চাপায় পথচারি নিহত
Published: 27th, March 2025 GMT
বন্দরে দ্রুতগামী স্বদেশ পরিবহনের বাস চাপায় আতাউর রহমান (৪৫) নামে এক পথচারি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে বন্দর উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের জাঙ্গাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আতাউর রহমান জাঙ্গাল এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি আব্দুল মোনয়েম লিমিটেড গোডাউনে হিসাব রক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিল ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়কের পাশ দিয়ে একজন পথচারি হেঁটে যাচ্ছিল। ওই সময় স্বদেশ পরিবহনের একটি বাস পেছন দিকে দিয়ে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা তাকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানান, আতাউর রহমান প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার সকালে হেঁটে ডিউটি যাচ্ছিলেন। আব্দুল মোনয়েম লিমিটেড গেইটের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়।
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বিকালে চিকিৎসাধীন মারা যায় তিনি।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
অভাবের কারণে গাছের পাতা খেয়েছি, তবু হাল ছাড়িনি: সুচন্দা
প্রখ্যাত নির্মাতা-সাহিত্যিক শহীদ জহির রায়হান ও কিংবদন্তি অভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দার ছেলে তপু রায়হান আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
রবিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তপু রায়হানের পাশে ছিলেন তার মা সুচন্দা। সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে সুচন্দা ফিরে যান জীবনের দুঃসহ সময়ে—সংগ্রাম, ত্যাগ আর অভাবের দিনে। আবেগভরা কণ্ঠে বললেন, “নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। আমার ছেলে, জহির রায়হানের ছেলে যেন মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে—এটাই আমার কামনা। আজ ওর বাবা বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই খুশি হতেন। আমি মা হয়ে বলতে পারি, তপুর ভেতরে মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আছে।”
আরো পড়ুন:
বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে জুবিন গার্গের শেষ সিনেমা
বাবার নির্বাচনি প্রচারে নেহা শর্মা
স্বাধীনতার স্মৃতি টেনে সুচন্দা বলেন, “স্বাধীনতার জন্য যখন মাঠে নেমেছিলাম, তখন পায়ে জুতা ছিল কি না, সেটা ভাবিনি। শুধু জানতাম, এই দেশ স্বাধীন হতে হবে, মানুষকে মুক্ত করতে হবে। সংসদ বা রাষ্ট্রপতি কে, সেটা আমাদের জানার প্রয়োজন ছিল না—আমরা জানতাম কেবল দেশ আর দেশের মানুষ।”
জহির রায়হানকে স্মরণ করে সুচন্দা বলেন, “তিনি রাজনীতি করতেন না, কিন্তু রাজনীতিকে লালন করতেন। তার লেখনি ও চলচ্চিত্রে দেশ ও মানুষের কথা ছিল। নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলেন সবসময়।”
এরপর তিনি উঠে এলেন জীবনের কঠিনতম সময়ের দিকে। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এমন সময়ও গেছে, যখন অভাবের কারণে গাছের পাতা খেয়েছি। তখন প্রায়ই খাবার জুটত না। তবু হাল ছাড়িনি। সন্তানদের মানুষ করেছি। বিশ্বাস ছিল, তারা তাদের বাবার মতো মানবিক ও দেশপ্রেমিক হবে।”
ছোট ছেলে তপু রায়হান কখনো তার বাবাকে দেখেনি, তবু তার মধ্যেই জহির রায়হানের ছায়া দেখতে পান বলেও জানান সুচন্দা।
“মানুষের জন্য কাজ করতে ওর এক অদ্ভুত টান আছে। তাই সে নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হার–জিত যাই হোক, আমি বিশ্বাস করি মানুষ তার পাশে থাকবে।” বলেন সুচন্দা।
ঢাকা–১৭ আসনের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সুচন্দা বলেন, “গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, শাহজাদপুর, ভাসানটেক, মহাখালী এলাকার সমস্যা আমি জানি। বিশেষ করে নিম্ন–আয়ের মানুষের সমস্যাগুলো যদি সঠিকভাবে চিহ্নিত করে সমাধান করা যায়, তবে এটি দেশের জন্য কার্যকর একটি মডেল হতে পারে।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত