বন্দরে দ্রুতগামী স্বদেশ পরিবহনের  বাস চাপায় আতাউর রহমান (৪৫) নামে এক পথচারি নিহত হয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ)  সকালে বন্দর উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের জাঙ্গাল এলাকায় এ  ঘটনা ঘটে।  নিহত আতাউর রহমান জাঙ্গাল এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি  আব্দুল মোনয়েম লিমিটেড গোডাউনে হিসাব রক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিল ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়কের পাশ দিয়ে একজন পথচারি হেঁটে যাচ্ছিল।  ওই সময় স্বদেশ পরিবহনের একটি বাস পেছন দিকে দিয়ে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন।

পরে স্থানীয় লোকজন ও  স্বজনরা তাকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।  বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহতের পরিবার সূত্রে  জানান,   আতাউর রহমান  প্রতিদিনের ন্যায়  বৃহস্পতিবার সকালে হেঁটে ডিউটি যাচ্ছিলেন। আব্দুল মোনয়েম লিমিটেড গেইটের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়।

এতে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।  বিকালে চিকিৎসাধীন মারা যায় তিনি। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ