‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতারা। সম্প্রতি  জুম মিটিংয়ে তারা দেশে গৃহযুদ্ধ এবং বর্তমান সরকার উৎখাত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা করে। এ অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়ার নিশ্চিতকরণের জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবেন বলেও জুম মিটিংয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে। এই মামলার দ্বিতীয় আসামি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড.

রাব্বি আলম। এছাড়া অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নেওয়া আরও ৫০৩ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মিটিংয়ে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ গঠন করে একটি গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা করে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জুম মিটিংয়ে ৫৭৭ জন অংশ নেয়। শেখ হাসিনার সব নির্দেশ পালন করার ব্যাপারে একাগ্রচিত্তে মত প্রকাশ করে তারা।
 
ওই মিটিং হোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলম। শেখ হাসিনা ও মিটিংয়ে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের কথোপকথনে ভয়েস রেকর্ড পর্যালোচনায় ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামক প্ল্যাটফর্মে দেশ–বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীরা বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে দেবে না মর্মে আলোচনা হয়। 

সেই সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মিটিংয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য গৃহযুদ্ধের ঘোষণা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা করা হয়। পরে সিআইডিকে এ মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম

এছাড়াও পড়ুন:

আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

ভারতের আসামে গত বছর একাধিক ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে উলফা (আই) নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। সংস্থাটি শনিবার গুয়াহাটির আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

পরেশ বড়ুয়া নিষিদ্ধঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (ইনডিপেনডেন্ট ) চেয়ারম্যান এবং স্বঘোষিত কমান্ডার ইন চিফ। চার্জশিটভুক্ত অন্য দুজন হলেন অভিজিৎ গগৈ ও জাহ্নু বড়ুয়া।

গত বছর আসামে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন ব্যাহত করতে গুয়াহাটির দিসপুর লাস্ট গেটে একাধিক আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে এই তিনজনের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা তদন্তের ভার নেয় এনআইএ।

এনআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহত করা, সম্পত্তি ধ্বংস করা, ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি তৈরি এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আইইডি স্থাপন করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
  • ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের কফিনে শেষ পেরেক: প্রেস সচিব