ভিস্তানেক্স হোল্ডিংস লিমিটেড (ভিএইচএল) আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়েল এস্টেট বা আবাসন খাতে প্রবেশ করেছে। সম্প্রতি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজস্ব কার্যালয়ে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোম্পানিটি এই ঘোষণা দেয়।

এ সময় ভিএইচএলের লোগো উন্মোচন করেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মো. শরীফুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শেখ আসিফুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক আবু আল মোতালিব রাজু, রাজিব রায়হান, শেখ আশিকুর রহমান, ব্যবসায়িক ইউনিটের প্রধান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য অতিথি।

ভিএইচএল আবাসন খাতে উদ্ভাবনী, টেকসই ও গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আধুনিক, দক্ষ, যুগোপযোগী ও পরিবেশবান্ধব আবাসনের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, ভিএইচএল সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এমন প্রকল্প নিয়ে আসছে, যা আধুনিক জীবনধারার প্রয়োজনীয়তা পূরণসহ নিশ্চিত করবে পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা। যারা আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে উচ্চ মানের উপকরণ ব্যবহার করতে চান এবং সময়মতো প্রকল্প হস্তান্তর বা নিখুঁত নির্মাণশৈলী নিয়ে ভাবেন, ভিএইচএল তাদের সেবা দিতে চায়।

অনুষ্ঠানে ভিএইচএলের চেয়ারম্যান মো.

শরীফুল আলম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কেবল আবাসন নির্মাণ নয়, বরং পরিবেশবান্ধব ও টেকসই সমাধান নিয়ে আসা। আমরা প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে আবাসন শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে চাই, যেখানে গ্রাহকের স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি প্রকৃতির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।’

ভিএইচএলের নতুন যাত্রা দেশের আবাসন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। পরিবেশবান্ধব, জ্বালানিবান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর আবাসন তৈরির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশের আবাসন খাতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ