ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে বৃহস্পতিবাট মধ্যরাত হতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকায় বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়কটিতে যানজট ছিল।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এর ফলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কে এখন যানবাহন চলাচল কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, মহাসড়কটির মুন্সীগঞ্জ অংশে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত দেড়টা থেকে যানজট সৃষ্টি হয়। যা আজও অব্যাহত রয়েছে। 

সরেজমিনে মহাসড়ক এলাকা ঘুরে এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো, একে অপরকে ওভারটেক করার প্রবনতা ও মহাসড়কে তিন চাকা বিশিষ্ট কমগতির ব্যাটারীচালিত রিকশা থ্রি-হুইলারের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে প্রায়। রমজান মাসে মহাসড়কে যানজটের কারণে ঈদ সামনে রেখে বাড়ি ফেরা যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে যানজটে আটকে পড়া নারী ও শিশু যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। 

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ২ মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রীর চাপ, স্টেশনেও ভিড়

পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি

ঢাকা থেকে চাঁদপুর যাচ্ছিলেন মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, “মেঘনা সেতু পার হয়ে যানজটে আটকে আছি। কখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব জানি না।”

ঢাকামুখী তিশা পরিবহনের যাত্রী তাহমিনা আক্তার বলেন, “বাউশিয়া এলাকায় মানা-বে ওয়াটার পার্কের সামনে জ্যামে পড়েছে আমাদের বাসটিভ আমরা এক ঘণ্টায় এক কিলোমিটার পথ আসতে পেরেছি।”

মহাসড়কে ডিউটিতে রয়েছেন জানিয়ে গজারিয়া থানার এসআই আব্দুল কাদের বলেন, “শুক্রবার সকালে বাউশিয়া এলাকায় মানা-বে ওয়াটার পার্কের সামনের মহাসড়কে প্রাইভেট কার ও পিকাপ ভ্যানের সংঘর্ষের কারণে এখানে জ্যাম রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি রেকারের সাহায্যে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”

গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “মধ্যরাত থেকে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বালুয়াকান্দী, আনারপুরা ও বাউশিয়া এলাকায় একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। মহাসড়কে যানবাহন অত্যাধিক চাপের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন য নজট ঈদ উৎসব ঈদ দ র ঘটন য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘনার জোয়ারে সেতুর সংযোগ সড়কে ধস, দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

মেঘনা নদীর জোয়ারের পানির তোড়ে সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়ায় নোয়াখালীর হাতিয়া ও লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। হাতিয়া ও রামগতি উপজেলার মাঝামাঝি এই সেতুর অবস্থান। আর ধসে পড়া সংযোগ সড়কটি পড়েছে রামগতির তেগাছিয়া বাজারে। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে প্রবল জোয়ারে সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়ে। এতে স্থানীয় স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ দুই উপজেলার বাসিন্দারা যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কের একাংশের মাটি সরে ধসে পড়েছে। বিষয়টি রামগতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) জানানো হয়েছে। তবে বিকেল নাগাদ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ধসের কারণে সড়কটি দিয়ে যানবাহন, এমনকি মানুষজনের চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী তেগাছিয়া বাজারের খালের ওপর নির্মিত সেতু দিয়ে উভয় উপজেলার বাসিন্দারা তেগাছিয়া বাজারে যাতায়াত করেন। তেগাছিয়া বাজারের বড় অংশটি হাতিয়ার মধ্যে। আরেক অংশ রামগতি সীমানার ভেতরে। এ ছাড়া স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক ও সেতু।

স্থানীয় টাংকির বাজারের ঘাটে আসা ইলিশ লক্ষ্মীপুর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায় এই সড়ক দিয়ে। তাই সেতুর সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ায় দুটি উপজেলার মাছ ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দ্রুত সংযোগ সড়ক মেরামত না করলে মূল সেতুই ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা ওই এলাকার বাসিন্দাদের।

জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) রামগতি উপজেলা প্রকৌশলী স্নেহাল রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, হাতিয়া-রামগতি উপজেলা সড়কের তেগাছিয়া বাজারের খালের ওপর নির্মিত ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির সংযোগ সড়কের কিছু অংশ জোয়ারের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে বলে শুনেছেন। কিন্তু পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাঁকে কেউ জানায়নি। তিনি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে কথা বলে দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেহাল সড়ক
  • মেঘনার জোয়ারে সেতুর সংযোগ সড়কে ধস, দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন