মেসি ছাড়াও জিততে পারে আর্জেন্টিনা; উরুগুয়ের পর ব্রাজিলকে উড়িয়ে দিয়ে এমন বার্তাই দিয়েছে আর্জেন্টিনার তরুণ দলটি। তাদের এ বার্তার সঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন নতুন করে উঠতে শুরু করেছে, লিওনেল মেসি কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলবেন? ব্রাজিলকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বাছাই পর্বের ঝামেলা শেষ করার পর বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৩৭ বছর বয়সী মেসির টানা ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে। তবে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি এ বিষয়ে মেসিকে চাপ না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। মেসির সিদ্ধান্ত মেসিকে নিতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ব্রাজিল ম্যাচের পরই স্কালোনিকে প্রশ্নটি করা হয়েছিল। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ অবশ্য সরাসরি এর কোনো উত্তর দেননি, ‘দেখা যাক কী হয়। এখনও তো অনেক সময় আছে।’ 

এর পর মেসিকে এই প্রশ্ন করে বিব্রত না করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্কালোনি, ‘আমাদের ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। নইলে তো এই এক বিষয় নিয়েই সারা বছর কথা বলতে হবে। তার সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে। দেখি না কী হয়। সে যখন চাইবে, তখনই সিদ্ধান্ত নেবে। এ নিয়ে তাকে পাগল করে দেওয়া উচিত হবে না।’ 

আর্জেন্টিনার গত দুটি বিজয় এসেছে মেসিকে ছাড়া। আটটি ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকা মাংসপেশির চোটের কারণে ছিটকে যান ম্যাচ দুটি থেকে। তবে শুধু এ দুটি ম্যাচেই নয়, ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া এ তারকার চোটের সখ্যতা ইদানীং বেশ বেড়েছে। ইন্টার মায়ামির হয়ে চলতি মৌসুমে বেশ কয়েকবার চোটে পড়েছেন তিনি।

তবে মেসির জাতীয় দলের সতীর্থদের কিন্তু তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ব্রাজিলের বিপক্ষে গোল করা জুলিয়ান আলভারেজ তো মেসি থাকলে সে দিন কী হতো সেটাও বলেছেন, ‘মেসি থাকলে আমরা আরও দু-তিনটি গোল বেশি দিতাম।’ 

রদ্রিগো ডি পল সমর্থন জানান তাঁকে, ‘আমাদের সেরাটা বেরিয়ে আসে যখন ১০ নম্বর খেলে। কারণ সে হলো সর্বকালের সেরা।’ 

আগামী বছর জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো; এ তিন দেশ যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে হতে যাওয়া এ আসর বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্রীড়া আসর হতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা ফুটবলপ্রেমীদের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন র ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ