হৃতিক ফিরছেন, সঙ্গে নিয়ে নতুন পরিচয়
Published: 28th, March 2025 GMT
এই আসছে, শিগগিরই ঘোষণা হবে—হৃতিক রোশন অভিনীত ‘কৃষ ৪’ নিয়ে গত কয়েক বছরে এমন অনেক কথা শোনা গেছে, কিন্তু সিনেমার কাজ আর শুরু হয়নি। এবার সিনেমাটি নিয়ে নতুন জটিলতার খবর প্রকাশ্যে আসে কিছুদিন আগে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, বিনিয়োগ জটিলতায় সিনেমাটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। ‘কৃষ ৪’ করতে ৭০০ কোটি রুপি লাগবে, এত টাকা লগ্নি করতে রাজি নয় কোনো প্রযোজনা সংস্থা। নতুন খবর, সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ‘কৃষ ৪’ আসছে।
চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম ভ্যারাইটি জানিয়েছে, সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করবেন রাকেশ রোশন ও যশরাজ ফিল্মসের আদিত্য চোপড়া।
‘কৃষ ৪’ আসছে, এটা হৃতিক–ভক্তদের জন্য বড় সুখবর তো বটেই, তবে এর চেয়েও বড় খবর, সিনেমাটিতে অভিনেতার পাশাপাশি নির্মাতার ভূমিকাতেও পাওয়া যাবে তাঁকে! ‘কৃষ ৪’ দিয়েই পরিচালনায় অভিষেক হচ্ছে হৃতিকের।
‘কৃষ’ বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় সুপারহিরো ফ্র্যাঞ্চাইজি। ২০০৩ সালে মুক্তি পায় এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা ‘কোই.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’