বাংলাদেশের বাজারে নতুন বৈদ্যুতিক বাইক এনেছে রিভো। ‘সি৩২’ মডেলের বাইকটি একবার পূর্ণ চার্জে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার পথ চলতে পারে। ৭২ ভোল্টের ২৬ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের গ্রাফিন ব্যাটারি এবং ১ হাজার ৮০০ ওয়াটের মোটর থাকায় বাইকটি প্রতি ঘণ্টায় ইকো মোডে ৩০ ও স্পোর্টস মোডে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে পথ চলতে পারে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রিভো বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১০.

৬ ঘণ্টায় পূর্ণ চার্জ হতে সক্ষম বাইকটিতে নিরাপত্তার জন্য সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম রয়েছে। শুধু তাই নয়, সামনে পেছনে হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে পথ চলা যায়। এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল সিস্টেমও রয়েছে বাইকটিতে।

১৪০ কেজি ওজনের বৈদ্যুতিক বাইকটির আসনের নিচে সুপরিসর জায়গা থাকায় বিভিন্ন বস্তু সহজেই রাখা যায়। মাটি থেকে বাইকটির উচ্চতা (গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স) ২০৫ মিলিমিটার। ফলে যেকোনো ধরনের রাস্তায় স্বাচ্ছন্দ্যে পথ চলা যায়। সি৩২ মডেলের বাইকটির দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ