রাজশাহীতে ২ ঘণ্টায় বেতন তুলতে গিয়ে দুর্ভোগে শিক্ষকেরা
Published: 28th, March 2025 GMT
সকালবেলা ব্যাংকের দরজা খোলার আগেই কলাপসিবল গেটের ফাঁক দিয়ে অন্তত ১০০টি চেক ভেতরে ঢুকে গেছে। সাড়ে নয়টার দিকে গেট খোলার পরে আর চেক নেওয়া হচ্ছিল না। এ নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন শিক্ষকেরা। বন্ধের দিনে দুই ঘণ্টার জন্য ব্যাংক খুলে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের (স্কুল ও কলেজের) বেতন দেওয়ার ঘোষণায় রাজশাহীতে সোনালী ব্যাংকের করপোরেট শাখার সামনে এই দৃশ্য দেখা গেছে।
আজ সকাল পৌনে নয়টার দিকে ব্যাংকের ওই শাখায় গিয়ে দেখা যায়, কলাপসিবল গেট তখনো লাগানো আছে। সামনে দাঁড়িয়ে শিক্ষকেরা ভেতরের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছিলেন। তাঁরা ভেতর থেকে বলছেন, চেক নেওয়া হবে না। বাইরে তখনই শ খানেক শিক্ষক এসে পড়েছেন। নিচ থেকে আরও শিক্ষক আসছিলেন। তাঁরা কী করবেন সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না।
সকাল সোয়া নয়টার দিকে এসেছিলেন রাজশাহী নগরের রানীবাজার গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষক আরামুল হক। তিনি বলেন, এত সকালে এসেও তিনি চেক জমা দিতে পারেননি। একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিরিনা পারভীনও চেক জমা দিতে পারেননি। তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘২৭ রমজানের রাত গেল, মানুষ রাত জেগেছে। তারপর সাতসকালে উঠেই দৌড় দিয়েছেন ব্যাংকে। এটা একটা কাজ! আবার বলছে, টাকা নেই, সাড়ে ১০টায় টাকা আসবে, তারপরে বেতন দেওয়া হবে।’
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জের একজন ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে কোনো কথাই বলতে চান না। অন্যদিকে তাকিয়ে বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে নাটক করা হচ্ছে। এখন কথা বলেই আর কী করব?’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরে অবশ্য বাইরের শিক্ষকদের চেক নেওয়া শুরু হয়। রাজশাহীর সোনালী ব্যাংকের সব শাখাতেই একই অবস্থা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের চারঘাট শাখায় এসেছিলেন উপজেলার ভাটপাড়া হাইস্কুলের শিক্ষক এমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘মার্চ মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। বেতনের এসএমএস পেয়েছি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে। সকালে এসে ব্যাংকে এই ভিড়। আপনারা এসে দেখে যান বেতন নিয়ে শিক্ষকদের শেষ পর্যন্ত কী অবস্থা হয়।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক