মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতের পর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে জান্তা সরকার। তবে, দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকরা নিরাপদে আছেন। মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেখানে অবস্থানরত সব বাংলাদেশি নাগরিক নিরাপদে আছেন। 

স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার।

রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জান্তা সরকারের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলা হয়, মানবিক সহায়তার পাশাপাশি দ্রুত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭ এবং এর একটি শক্তিশালী আফটারশকও ছিল।

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, বেশ কিছু ভবন, সেতু, সড়ক, মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বেশ কয়েকটি উঁচু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরে নির্মাণাধীণ একটি ৩০ তলা ভবন ধসে পড়েছে। ভবনের ধ্বংসস্তূপে ৪৩ শ্রমিক আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে। ব্যাংকককে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। রেল চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব স ভ ম কম প ভ ম কম প অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ