ভূমিকম্প: নিরাপদে আছেন মিয়ানমারে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা
Published: 28th, March 2025 GMT
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতের পর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে জান্তা সরকার। তবে, দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকরা নিরাপদে আছেন। মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেখানে অবস্থানরত সব বাংলাদেশি নাগরিক নিরাপদে আছেন।
স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার।
রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জান্তা সরকারের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলা হয়, মানবিক সহায়তার পাশাপাশি দ্রুত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭ এবং এর একটি শক্তিশালী আফটারশকও ছিল।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, বেশ কিছু ভবন, সেতু, সড়ক, মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বেশ কয়েকটি উঁচু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরে নির্মাণাধীণ একটি ৩০ তলা ভবন ধসে পড়েছে। ভবনের ধ্বংসস্তূপে ৪৩ শ্রমিক আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে। ব্যাংকককে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। রেল চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রব স ভ ম কম প ভ ম কম প অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?