কাঁটাতার বসাতে গেলেই বাধা দেয় মমতার লোক
Published: 28th, March 2025 GMT
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, পশ্চিবঙ্গ সরকারকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৪০০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর জন্য দশবার বলেছি। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব ও মুখ্য সচিবের সঙ্গে সাতবার বৈঠক করেছি। তার পরও তারা জমি দেয়নি। যেখানেই কাঁটাতার বসানোর ব্যবস্থা করা হয়, সেখানেই রাজ্য শাসকগোষ্ঠীর লোকেরা গণ্ডগোল পাকায়। খবর এনডিটিভির।
বৃহস্পতিবার সংসদে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধাঁচে ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল, ২০২৫’ পাস করে মোদি সরকার।
অমিত শাহ বলেন, ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমানা। তার মধ্যে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটারে কাঁটাতার বসানো হয়ে গেছে। বাকি রয়েছে ৫৬৩ কিলোমিটার অঞ্চল। এর মধ্যে আবার ১১২ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে নদী-নালা বয়ে চলেছে। এসব এলাকায় কাঁটাতার বসানো অসম্ভব হলেও বাকি ৪০০ কিলোমিটারে বেড়া দেওয়া যাবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনেক দরদ। তাই তারা সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে দিচ্ছে না। ২০২৬ সালে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে এই বকেয়া কাজ শেষ করবে। আসামে যখন কংগ্রেস সরকার ছিল, তখন ওই এলাকা থেকে রোহিঙ্গা ঢুকত, এখন পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঢুকছে।
লোকসভায় ওই বিলের ওপর আলোচনায় অমিত শাহ জানান, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যাদের হুমকি বলে মনে করা হবে, তাদের কোনোভাবেই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি বৈঠকে বসছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি বৈঠকে বসছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অব গভর্নরস। আজ সোমবার আইএইএর সদর দপ্তরে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। খবর বিবিসির
রাশিয়া, চীন ও ভেনেজুয়েলের সহায়তায় এবং ইরানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি বৈঠকে বসছে আইএইএ।
ইরান শুরুতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করতে চেয়েছিল। তবে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। ফলে, ইরান এখন সাধারণ বিবৃতি দেওয়ার দিকে নজর দিয়েছে। ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে এই বিবৃতি দেওয়া হবে।
ইরান বলেছে, আইএইএ–র বোর্ড অফ গভর্নরদের অবশ্যই ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে। তবে এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের নিন্দা জানানোর সম্ভাবনা কম।
তবে এই বৈঠকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির পথ সুগম হবে কী না তার কোনো স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি।