‘ঈদ জামাত’ নিয়ে কথা কাটাকাটি, ছুরিকাঘাতে নিহত ১
Published: 29th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ‘ঈদ জামাত’ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে আব্দুল কাইয়ুম (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট দক্ষিণ পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আব্দুল কাইয়ুম সদরঘাট দক্ষিণ পাড়ার মজুদ উল্লাহর ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মুজাহিদ আলী (৩৫)। তিনি একই গ্রামের কাজী সুন্দর আলীর ছেলে।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় আবরার হত্যার রায় কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহীতে ভগ্নিপতিকে হত্যায় সম্বন্ধি গ্রেপ্তার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের মসজিদে তারাবির নামাজের সময় আব্দুল কাইয়ুম ও মুজাহিদ আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মুজাহিদ আলী কাইয়ুমকে ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
স্থানীয়দের বরাতে দেবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ রিয়াজ নাদির সুমন বলেন, “ঈদের জামাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে ঘটনাটি ঘটেছে।”
নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, “মরদেহ সিলেট থেকে এলে থানায় নিয়ে সুরতহাল করা হবে। এরপর হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে।”
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত