রাস্তার ধারে নামাজ পড়ার ‍দৃশ্য শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, ভারতেও দেখা যায়। কিন্তু ‘রাস্তার ধারে বসে নামাজ পড়া যাবে না’ এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রশাসন। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে ব্যক্তির পাসপোর্ট বাতিল করা হবে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। এদিকে এরই মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকি।

তিনি প্রশাসন তথা স্থানীয় পুলিশের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন। নিজের সামাজিক মাধ্যমে মুনাওয়ার একটি প্রতিবেদন ভাগ করে নিয়েছেন। 

যেখানে বলা হয়েছে, ‘‘রাস্তার ধারে নামাজ পাঠ করা যাবে না, সাবধান করেছে মেরঠ পুলিশ। নিয়ম লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এমনকি পাসপোর্ট ও চালকের লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হবে।’’

আরো পড়ুন:

জাহিদুল ইসলামের রচনায় ঈদের নাটক ‘আধুনিক চোর’

আনন্দের কথায় ‘ঈদ আনন্দ’

মুনাওয়ার পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ‘‘৩০ মিনিটের নামাজের জন্য এত কিছু? এবার থেকে কি ভারতের রাস্তায় কোনো উৎসবই হবে না?’’

এই কৌতুকশিল্পী অভিনেতার অসংখ্য অনুরাগী। তারাও মুনাওয়ারের এই বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে, সমালোচনার মুখে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ