ডিসি বাংলোর পুকুরে মিললো বিপুল পরিমাণ ব্যালট
Published: 29th, March 2025 GMT
নাটোর শহরের পুরাতন ডিসি বাংলোর পাশে পুকুরে অস্ত্র খুজতে গিয়ে বাংলোর ভেতরে পুঁতে রাখা শতাধিক বস্তা ব্যবহৃত ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে এসব ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়।
নাটোর জেলা প্রশাসনের মেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘বস্তা ভর্তি ব্যালট পেপার পুঁতে রাখার ঘটনার খবর পেয়ে পুরাতন ডিসি বাংলোতে আসি। সেখানে মাটি খুঁড়ে শতাধিক বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধার করি।’
তিনি আরও জানান, এই ব্যালট পেপারগুলো গত সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ৬ মাস পর্যন্ত এই ব্যালট পেপারগুলো ট্রেজারিতে জমা থাকে। পরবর্তীতে কোনো মামলা মোকাদ্দমা না হলে ব্যালটগুলো ধ্বংস করা বা অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। এরই অংশ হিসেবে ট্রেজারিতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় পুরাতন ডিসি বাংলোর পরিত্যাক্ত ভবনে রাখা হয়। কিন্তু কে বা কারা এই ব্যালট বাক্সগুলো সেই গুদাম থেকে বের করে মাটি পুতে রাখে।
সেখানে কোনো প্রহরা ছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এনডিসি জানান, সেখানে একজন নাইটগার্ড আছে। কিন্তু তাকে এ বিষয়ে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
গতকাল ডিসি বাংলোর পাশের পুকুর থেকে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এরসঙ্গে কোনো জোগসাজশ আছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমি ঠিক জানি না- এর সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, ডিসি ডাক বাংলোর পাশের তালাব পুকুর থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পানি সেচ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার বড়শি ফেলে মাছ ধরার সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটা শটগানসহ ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অশ্বিন ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ
ক্রিকেট নিয়ে সুগভীর ভাবনা ও জ্ঞানের জন্য তাঁকে কেউ কেউ ডাকেন ‘বিজ্ঞানী’ (সায়েন্টিস্ট)। এবার ক্রিকেটের সেই ‘বিজ্ঞানী’র বিরুদ্ধেই উঠেছে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ। অভিযুক্তের নাম রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে (টিএনপিএল) গত শনিবার মাদুরাই প্যান্থার্সের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জেতে দিন্দিগুল ড্রাগনস। দিন্দিগুলের হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রানে কোনো উইকেট পাননি ভারত জাতীয় দলের সাবেক এ স্পিনার। এ ম্যাচে অশ্বিন এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টের আয়োজক কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ করেছে মাদুরাই প্যান্থার্স। ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানিয়েছে, আয়োজকেরা অভিযোগের পক্ষে তথ্য–প্রমাণ দিতে বলেছেন মাদুরাই প্যান্থার্সকে।
আরও পড়ুনমিরাজ কি কাল খেলতে পারবেন১ ঘণ্টা আগেটিএনপিএলের কাছে করা অভিযোগনামায় মাদুরাই দাবি করেছে, এই টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দিন্দিগুল ম্যাচে রাসায়নিক তরলে ভেজানো তোয়ালে ব্যবহার করে বল মুছেছিল, যে কারণে বল অপেক্ষাকৃত ভারী হয়েছে এবং ব্যাটের আঘাতে ধাতব শব্দ হয়েছে।
টিএনপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রসন্ন কানন এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘তারা (মাদুরাই) অভিযোগ দায়ের করেছে, যেটা আমরা জানি। যদিও নিয়মটা হলো ম্যাচের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ করতে হবে, তবু অভিযোগটি আমলে নিয়ে তাদের তথ্য–প্রমাণ দিতে বলেছি।’
প্রসন্ন যোগ করেন, ‘অভিযোগের সত্যতা মিললে আমরা স্বাধীন একটি কমিটি তৈরি করব। পর্যাপ্ত তথ্য–প্রমাণ ছাড়া একজন খেলোয়াড় ও ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করাটা ভুল হয়। কোনো প্রমাণ দাখিল করতে না পারলে মাদুরাইকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
আরও পড়ুনভারতের ক্রিকেটে নতুন বিস্ময়, সূর্যবংশীর বন্ধু ২২ ছক্কা ও ৪১ চারে করলেন ৩২৭৩ ঘণ্টা আগেটিএনপিএলকে পাঠানো চিঠিতে মাদুরাই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এস মহেশ বলেছেন, ‘দিন্দিগুল ড্রাগনসের বিপক্ষে আমাদের সাম্প্রতিক ম্যাচে বল টেম্পারিংয়ের মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে। কয়েকবার সতর্ক করার পরও দিন্দিগুল দল বল টেম্পারিং করেছে। তারা তোয়ালে ব্যবহার করেছে, যেটিতে রাসায়নিক মাখানো ছিল।’
বর্ষা মৌসুমে টিএনপিএল চলায় বৃষ্টিতে ম্যাচে বিঘ্ন ঘটছে। গত শনিবার মাদুরাই-প্যান্থার্স ম্যাচও বৃষ্টির কারণে শুরু হতে দেরি হয়। মাদুরাই আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৫০ তোলে। তাড়া করতে নেমে ১২.৩ ওভারে জেতে দিন্দিগুল। ওপেন করতে নেমে ২৯ বলে ৪৯ করেন অশ্বিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ভেজা মাঠের কন্ডিশনের জন্য প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলকে তোয়ালে সরবরাহ করে তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। খেলোয়াড়েরা আম্পায়ারের সামনে তোয়ালে দিয়ে বল মুছে শুকনা করতে পারবেন। প্রসন্ন এ নিয়ে বলেছেন, ‘শুধু টিএনপিএলের সরবরাহ করা তোয়ালে দিয়েই তাঁরা বল মুছে শুকনা করতে পারবেন। প্রতি ছক্কার পর কিংবা আউটের পর আম্পায়াররা নিয়মিত বল পরীক্ষা করেন এবং তাঁরা ওই ম্যাচে কোনো সমস্যা খুঁজে পাননি।’