ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফিরে প্রাণ হারাল শিশু সুমাইয়া
Published: 29th, March 2025 GMT
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মহাসড়ক পারাপার হওয়ার সময় নূর পরিবহনের বাসের চাপায় সুমাইয়া আক্তার (৮) নামে এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য মা-বাবার সাথে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিল সে। মুহূর্তে পরিবারের ঈদ আনন্দ বিষাদে রূপ নেয়।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আহসানমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমাইয়া জয়কলস নোয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে৷
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য মা-বাবার সাথে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরে শিশু সুমাইয়া৷ পরে উপজেলার নোয়াগাঁও এলাকায় সড়ক পারাপারের সময় শিশটি বাসচাপায় সড়কেই প্রাণ হারায়। এসময় ক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়কে জড়ো হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়৷ পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় শান্তিগঞ্জ থানা ও জয়কলস হাইওয়ে পুলিশ যানচলাচল স্বাভাবিক করে৷
জয়কলস হাইওয়ে থানা পুলিশের এসআই নাজমুল ইসলাম বলেন, “বাসচাপায় এক শিশু নিহত হয়েছে। এতে স্থানীয় এলাকার জনতা সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে এলাকার সচেতন বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে৷”
ঢাকা/মনোয়ার/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫