অস্ট্রেলিয়ার ফতওয়া কাউন্সিল আগামী সোমবার (৩১ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কাউন্সিল চাঁদ দেখা সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানায়।

কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার রাত ৯টা ৫৭ মিনিটে শাওয়াল মাসের চাঁদের জন্ম হবে। তবে তা আকাশে দেখা যাবে রোববার (৩০ মার্চ)। এ কারণে ৩০ দিন রোজা পূর্ণ করে সোমবার ঈদ পালন করা হবে। এই পদ্ধতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বেশ কয়েকটি ফতওয়া পরিষদ অনুসরণ করে থাকে।

তবে অস্ট্রেলিয়ার চাঁদ দেখা কমিটি 'মুনসাইটিং অস্ট্রেলিয়া' জানিয়েছে, তারা ঐতিহ্যগতভাবে আকাশে সরাসরি চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ঈদ সোমবার অথবা মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) হতে পারে।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অস্ট্রেলিয়া প্রায়ই চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রাখে। এ বছর রমজান শুরুর ঘোষণাও দেশটি আগে দিয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায় ঈদের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। সিডনি, মেলবোর্নসহ প্রধান শহরগুলোতে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঈদ জামাতের জন্য নিরাপত্তা ও যানজট ব্যবস্থাপনা জোরদার করেছে।

অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১০ লাখ মুসলমান বসবাস করেন। দেশটিতে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা সরকারি ছুটির দিন নয়। তবে মুসলিম কর্মীরা বিশেষ ছুটির সুযোগ পান।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ