নীলফামারীর সৈয়দপুরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা এক টাকায় ঈদের নতুন জামা কিনতে পেরেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট এলাকায় এক টাকায় ঈদের নতুন জামা বিক্রির দোকানটি বসায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর’। 

মাত্র এক টাকায় নিজের পছন্দমতো নতুন জামা পেয়ে ঈদের হাসি ফুটেছে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে।

নতুন সব ডিজাইনের ফ্রক, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট ছিল। আগত সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা এক টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দমতো পোশাক কিনে নেন। আর এভাবে মাত্র এক টাকায় ঈদ নতুন জামা পেযে খুশি সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা।

শহরের গোলাহাটের শিশু সুমাইয়া আক্তার জানায়, যে কোনো উৎসব-পার্বণে তাদের মা-বাবার পক্ষে নতুন কাপড় কেনা সম্ভব হয় না। এখানে এক টাকায় নতুন জামা দিচ্ছে শুনেই ছুটে আসি এবং এই এক টাকায় পছন্দ মত ফ্রক নিয়েছে। খুব খুশি সে।

সংগঠনের সদস্য সামিউল হোসেন জানান, সমাজে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বেশিভাগ সময়ই বঞ্চিত। ঈদেও তারা নতুন কাপড় কিনতে পারে না। তাই ওইসব শিশুদের ঈদ আনন্দ বর্ণিল করতেই আমরা এক টাকায় ঈদের নতুন জামা দিয়েছি। ঈদের আগ পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে আমাদের।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নওশাদ আনসারী বলেন, “মূলত সুবিধাবঞ্চিত, এতিম শিশুদের জন্য আমাদের এই আয়োজন। যেসব শিশুদের ঈদের নতুন জামা হয়নি তারা স্বচ্ছন্দে আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর এর দোকান থেকে মাত্র এক টাকার বিনিময়ে নিজের পছন্দ মত পোশাক নিতে পারবে। আমাদের সদস্যরা নিজস্ব অর্থায়নে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নতুন জামা দিয়ে এই আয়োজন করেছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে আমরা শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস ও সেমাই চিনি দুধও দেওয়া হচ্ছে অসহায়দের জন্য। এ কার্যক্রম চাঁদ রাত পর্যন্ত চলবে।”

ঢাকা/সিথুন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র নত ন জ ম ট ক য় ঈদ র স য়দপ র আম দ র পছন দ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ