দুই বছর প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর পথ আলাদা হয়েছে তামান্না ভাটিয়া এবং বিজয় ভার্মার। তবে তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরলেও, তারা জানিয়েছেন যে তারা একে অপরের ভালো বন্ধু হয়ে থাকবেন। তবে এত কিছুর পরও এড়ানো যায়নি চর্চা।

দু’জনের বিচ্ছেদের খবর তাদের অনুরাগীদেরও বেশ হতাশ করেছে। কারণ অনুরাগীরা তাদের জুটি হিসেবে খুব পছন্দ করতেন। এ প্রসঙ্গে তামান্না কিছুদিন আগে পরোক্ষভাবে কিছু কথা বললেও বিজয় কাউকেই কিছু বলেননি।

বিজয় বর্মা সম্প্রতি আইএএনএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্পর্কে নিয়ে নানা কথা ও তার মতামত প্রকাশ করেছেন।

তার কথায়, ‘আপনি সম্পর্কের কথা বলছেন, তাই না? আমার মনে হয়, আইসক্রিমের মতো সম্পর্ককে উপভোগ করুন, তাহলে আপনি খুব সুখী থাকবেন। এর অর্থ হল, যে ফ্লেভারই আসুক না কেন, তা গ্রহণ করুন এবং তা সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যান।’

প্রায় দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন বিজয় ভার্মা ও তামান্না ভাটিয়া। এই মাসের শুরুতে তাদের ব্রেকআপের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তবে, তারা কেন আলাদা হলেন সে বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়।

সম্প্রতি রাবিনা ট্যান্ডনের হোলি পার্টিতে তাদের দেখা গেলেও তারা আলাদা আলাদা ভাবে তা উপভোগ করেছেন। বর্তমানে তামান্না এবং বিজয় উভয়েই তাদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ