পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের ইফতার
Published: 29th, March 2025 GMT
পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে জেলা শহরের মসজিদ পাড়া এলাকায় জেলা জামায়াতের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিল হয়।
জামায়াতে ইসলামীর মানবসম্পদ, মিডিয়া ও তথ্য, আইটি সেক্রেটারি এবং জেলা কর্মপরিষদ সদস্য শাহীদ আল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও পঞ্চগড় জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আধ্যাপক ইকবাল হোসাইন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও পঞ্চগড় শহর শাখার আমীর মাওলানা জয়নাল আবেদীন।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর বায়তুল মাল সেক্রেটারি মাওলানা মনিরুল ইসলামের কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পঞ্চগড়ের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
শীর্ষ বিনিয়োগ সম্মেলনে থাকবে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির বুথ
ইফতারে মাহফিলে বাধা, জামায়াতের সঙ্গে ছাত্রদলের হাতাহাতি
ঢাকা/নাঈম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইফত র ইসল ম র ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’