মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে একজন নিহত ও দু’জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৬টায় তন্তর ইউনিয়নের পাড়াগাঁওয়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাফর মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। গুরুতর জখম জহির হোসেন ও আরিফ শিকদারকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শ্রীনগর থানার ওসি শাকিল আহামেদ সমকালকে জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পাড়াগাঁওয়ের ফালু শেখের ছেলে মহসিন বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। নওপাড়ায় ছিনতাইকারীরা কলাগাছ ফেলে পথরোধ করে। মহসিনকে কিলঘুষি মেরে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয়। মহসিনের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তবে রিকশাটি নিয়ে চলে যায় অন্য এক ছিনতাইকারী। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর জাফর মিয়া মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে নিহতের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহত জাফরের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনির ফুলছড়িতে। জহির শরিয়তপুরের জাজিরার গোপালপুর ও আরিফের বাড়ি বরিশালের মুলাদির মুন্তাজপুর গ্রামে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণপ ট ন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মী দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

প্রকারভেদ

কর্মক্ষেত্রে বুলিং বিভিন্ন রকম হয়—

মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রূপ করা।

শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেওয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।

সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।

কেন করা হয়?

এই উৎপীড়নের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—

কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা।

সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা।

কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।

কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেওয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

ডিপ্রেশন বা হতাশা

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা

ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া

আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া

আত্মহত্যার প্রবণতা

শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া

ওজন বেড়ে যাওয়া

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া

মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।

প্রতিরোধের উপায়

ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা।

প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব