Samakal:
2025-05-01@05:02:23 GMT

ঈদ আয়োজনে শ্রাবণ্য তৌহিদা

Published: 29th, March 2025 GMT

ঈদ আয়োজনে শ্রাবণ্য তৌহিদা

সারা বছরই উপস্থাপনা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটে শ্রাবণ্য তৌহিদার। ঈদ এলে ব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুগুণে। বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপনায় দেখা যাবে। আগামী ঈদে দেশ টিভির জন্য নির্মিত ঈদ বিশেষ সেলিব্রিটি টক শোর সাত পর্ব, একটি দৈনিক পত্রিকার ‘তারকা আড্ডা’ অনুষ্ঠানের সাত পর্ব, বিটিভির জন্য নির্মিত ঈদ মিউজিক্যাল শো ও দুটি ভিন্ন সেলিব্রিটি টক শো, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের পাঁচ পর্বের ‘ঈদ গল্প আড্ডা’, জিটিভির সাত পর্বের ঈদ বিশেষ আয়োজন ও গ্লোবাল টিভির সরাসরি গানের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করবেন শ্রাবণ্য তৌহিদা।

ঈদ আয়োজনের উপস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঈদে সাধারণত বড় বড় তারকার সিনেমা মুক্তি পায়। এই সিনেমা ঘিরে বিভিন্ন চ্যানেল বর্ণিল আয়োজন করে। সেসব আয়োজনে একজন উপস্থাপিকা হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগটা হাতছাড়া করতে ইচ্ছা করে না। অনেকেই জানেন, আমি উপস্থাপনা ও অভিনয়ের বাইরেও আমার একটি পরিচয় আছে। চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সময় ম্যানেজ করে আমি এই আয়োজনগুলোতে অংশগ্রহণ করি। যাদের নিমন্ত্রণে এসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করি, তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ, তারা আমার দিকটাও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে সম্মান দিয়ে আমাকে নিয়ে কাজ করেন। এবারের ঈদের সব আয়োজনই বিশেষ বিশেষ কারণে বিশেষ হয়ে উঠেছে। আশা করছি, আমার উপস্থিতিতে সেসব অনুষ্ঠান দর্শকের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়াবে।’

অনেক দিন অভিনয়ে নেই। দর্শক কি অভিনয়শিল্পী তৌহিদা শ্রাবণ্যকে মিস করছেন না? শ্রাবণ্যের ভাষ্য, ‘অভিনয় তো করতেই চাই। সময়-সুযোগ হয়ে ওঠে না। আগামী ঈদের পর ওয়েব সিরিজে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সিরিজটির শুটিংয়ে অংশ নেব।’   
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র উপস থ প

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ