সারা বছরই উপস্থাপনা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটে শ্রাবণ্য তৌহিদার। ঈদ এলে ব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুগুণে। বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপনায় দেখা যাবে। আগামী ঈদে দেশ টিভির জন্য নির্মিত ঈদ বিশেষ সেলিব্রিটি টক শোর সাত পর্ব, একটি দৈনিক পত্রিকার ‘তারকা আড্ডা’ অনুষ্ঠানের সাত পর্ব, বিটিভির জন্য নির্মিত ঈদ মিউজিক্যাল শো ও দুটি ভিন্ন সেলিব্রিটি টক শো, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের পাঁচ পর্বের ‘ঈদ গল্প আড্ডা’, জিটিভির সাত পর্বের ঈদ বিশেষ আয়োজন ও গ্লোবাল টিভির সরাসরি গানের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করবেন শ্রাবণ্য তৌহিদা।
ঈদ আয়োজনের উপস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঈদে সাধারণত বড় বড় তারকার সিনেমা মুক্তি পায়। এই সিনেমা ঘিরে বিভিন্ন চ্যানেল বর্ণিল আয়োজন করে। সেসব আয়োজনে একজন উপস্থাপিকা হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগটা হাতছাড়া করতে ইচ্ছা করে না। অনেকেই জানেন, আমি উপস্থাপনা ও অভিনয়ের বাইরেও আমার একটি পরিচয় আছে। চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সময় ম্যানেজ করে আমি এই আয়োজনগুলোতে অংশগ্রহণ করি। যাদের নিমন্ত্রণে এসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করি, তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ, তারা আমার দিকটাও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে সম্মান দিয়ে আমাকে নিয়ে কাজ করেন। এবারের ঈদের সব আয়োজনই বিশেষ বিশেষ কারণে বিশেষ হয়ে উঠেছে। আশা করছি, আমার উপস্থিতিতে সেসব অনুষ্ঠান দর্শকের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়াবে।’
অনেক দিন অভিনয়ে নেই। দর্শক কি অভিনয়শিল্পী তৌহিদা শ্রাবণ্যকে মিস করছেন না? শ্রাবণ্যের ভাষ্য, ‘অভিনয় তো করতেই চাই। সময়-সুযোগ হয়ে ওঠে না। আগামী ঈদের পর ওয়েব সিরিজে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সিরিজটির শুটিংয়ে অংশ নেব।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।