ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ‘ঈদ উপহার’ দিলো সেফ দ্যা নিউ জেনারেশন অব বাংলাদেশ
Published: 29th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে ঈদ উপহার দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সেফ দ্যা নিউ জেনারেশন অব বাংলাদেশ '।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে সেফ দ্যা নিউ জেনারেশন অব বাংলাদেশ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের বাসভবন প্রাঙ্গণে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেয়া হয়।
এসময় সেফ দ্যা নিউ জেনারেশন অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের উপহার দিতে পেরে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের উপহার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। ইমাম সাহেবরা আমাদের সমাজের নীতি নির্ধারক পথ নির্দেশক।
আমাদের সকলেরই তাঁদেরকে সর্বোচ্চ সম্মান আমাদের প্রদান করতে হবে। আমাদের সমাজে যারা সামর্থ্যবান আছেন রাজনীতি নয় কিংবা লোক দেখানো নয় আমাদের ইহকাল ও পরকালের কল্যাণার্থে এবং সত্যিকারের মানবিকতার স্বার্থে সমাজে মানবসেবার কল্যাণমূলক কাজ যেন আমরা করি এজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।'
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মাহবুবুর রহমান টনি, জাহিদুল ইসলাম ইকবাল, রাসেল মাহমুদ, রুবেল, সিহান রাজ্জাক সঞ্চয়, সুদীপ্ত, ফজলু, মুন্না, ইমন, সাজিদ, নাহিয়ান, মেহেদী, রিফাত, আরফিন প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ ম য় জ জ নদ র আম দ র উপহ র
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস