ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেলে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
Published: 29th, March 2025 GMT
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেলে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাঁচবিবি পৌর শহরের দানেজপুর ডিগ্রি কলেজে মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচটি জীবিত গরু ও একটি জবাই করা গরুর মাংস, তেল, মসলা-চাল লুট করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আজ শনিবার পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.
পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা বলেন, ‘আমার শিখা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে শনিবার দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডালিম হোসেনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের নেতা ফয়সালসহ বিপুলসংখ্যক লোকজন অস্ত্র নিয়ে দানেজপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে গিয়ে দেখভালের দায়িত্বে থাকা ফারুক হোসেনকে মারধর করেন। এতে তিনি প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান। এরপর ডালিম হোসেন ও তাঁর লোকজন ডেকোরেটের আসবাব ভাঙচুর করে তাতে আগুন দেন। সেখানে জবাই করতে আনা পাঁচটি গরু, একটি জবাই করা গরুর মাংস, তেল-মসলা লুট করে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডালিম হোসেন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্র বিশাল হত্যা মামলার আসামি গোপনে ইফতার পার্টি করতে চেয়েছিলেন। এটি জানার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে শুক্রবার রাতে ইফতার মাহফিলের আয়োজন পণ্ড করে দিয়েছেন। আমাকেসহ বিএনপির লোকজনদের আসামি করা হয়েছে। আমি ঘটনার সময় ছিলাম না।’
জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামীম হোসেন বলেন, পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একটি হত্যাসহ দুটি মামলার আসামি। তিনি ইফতার মাহফিলের নামে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন করছিলেন। ক্ষুব্ধ লোকজন শিখার ইফতার মাহফিল আয়োজন পণ্ড করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম বলেন, দোয়া ও ইফতার মাহফিল প্যান্ডেল হামলা-ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও ইফতারির পণ্য চুরির ঘটনায় থানা মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র ব এনপ র ও ইফত র ল কজন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’