ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৫
Published: 29th, March 2025 GMT
পিরোজপুরের কাউখালীতে পূর্বশত্রুতার জেরে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার পোস্টার লাগানোর সময় হামলা ও সংঘর্ষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় একটি কাঠের ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন রাঢ়ীর হাট ও রাঢ়ী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদলের নেতাকর্মী জানান, রাতে তারা একই এলাকার বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার লাগানোর জন্য রাঢ়ীর হাটে যান। এ সময় ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সহসভাপতি রাসেল রাঢ়ী এবং তাঁর ভাই ঢাকার যুবলীগ নেতা রহমত রাঢ়ীর নেতৃত্বে একদল যুবক তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে পাঁচজন আহত হন।
স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দু’জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাসেলের ভাই রফিকুল ইসলাম রাঢ়ী অভিযোগ করে বলেন, তারা সবাই ঢাকায় থাকেন। ফেসবুকের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই ভাইকে ধরে নেওয়ার জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম সুমনের নেতৃত্বে ৮-১০ জন লোক আসেন। ধরে নিতে ব্যর্থ হয়ে দেড় শতাধিক লোক তাদের বাড়িতে হামলা করে একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে কাউখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। যদিও হামলার অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে রাসেল রাঢ়ীর লোকজন নিজেদের ঘরে আগুন লাগিয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রদল নেতা সুমনের। তবে উভয় পক্ষই স্বীকার করেছে, অজ্ঞাত একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পোস্টার লাগানোর সময় তারা সামনাসামনি হওয়ায় তাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীর ওপর হামলার খবর পেয়ে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ছুটে যান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, কাউখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান এসএম আহসান কবীর, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
কাউখালী থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল স ঘর ষ আহত ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে বঞ্চনার শিকার বাংলাদেশের সাংবাদিকরা
শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বঞ্চনার শিকার, ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।
ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী যারা বেতন দেন না অথচ মিথ্যাচার করেন- সেসব মালিকদের বিরুদ্ধে ইউনিয়নকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।
আরো পড়ুন:
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সরকার বন্ধ করেনি: তথ্য উপদেষ্টা
খুবি সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে রমিন-মিরাজ
কাদের গনি বলেন, “সভ্যতার বিকাশে শ্রমিকের অবদান সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তারাই পান না শ্রমের মর্যাদা, অবহেলায় কাটে তাদের দিন।”
তিনি বলেন,“শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। অধিকাংশ মিডিয়ার সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেন না। অথচ ওয়েজবোর্ডে বেতন দেন-এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এসব ঠকবাজ মালিকদের বিরুদ্ধে ইউনিয়নকে সক্রিয় হতে হবে।”
কাদের গনি বলেন, “শ্রম, শ্রমিক এই দুয়ের উপরেই আজকের আধুনিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে তাজমহলকে নিয়ে আজ বিশ্বের এত মাতামাতি সেই তাজমহল তৈরিতে লেগেছে শ্রমিকদের ঘাম। অথচ আজকের সমাজ যেন কুলি-মজুর এবং সাহেব এই দুই শ্রেণিতে ভাগ হয়ে গেছে।”
টাকা-পয়সা এই পার্থক্য তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই সাংবাদিক নেতা বলেন, “বাংলাদেশে এ বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ২১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিবারের পাশে কোনো মালিক দাঁড়ায়নি।”
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিশ্বে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা রোগে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে অর্থনীতি।”
বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে এক হাজার ৪৩২ জন শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছেন ৫০২ জন।”
বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে ও ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরো অংশ নেন ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাকের হোসাইন, খায়রুল বাশার, বাছির জামাল, এরফানুল হক নাহিদ, মোরসালিন নোমানী, রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাশেদুল হক, রফিক মোহাম্মদ, বাবুল তালুকদার, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, মোদাব্বের হোসেন, সাঈদ খান, আবু হানিফ, দিদারুল আলম, আবুল কালাম মানিক, আবুল কালাম ও রফিক লিটন।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ