ইউরোপের অন্যতম দেশ লুক্সেমবার্গ। দেশটির ইউনিভার্সিটি অব লুক্সেমবার্গ ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বৃত্তি দিচ্ছে। এ বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ আছে। আবেদন করতে প্রয়োজন নেই আইইএলটিএসের।

*বৃত্তির জন্য আংশিকভাবে অর্থায়ন করবে ইউনিভার্সিটি অব লুক্সেমবার্গ

*স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি হিসেবে দুই বছরে মোট ১০ হাজার ইউরো দেওয়া হবে

*লুক্সেমবার্গ সরকারের অর্থায়নের বৃত্তিতে থাকছে আবাসনের ব্যবস্থাও

আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য—

*ডিগ্রির সার্টিফিকেট ও প্রতিলিপি

*পারসোনাল স্টেটমেন্ট

*দুটি রেকমেন্ডেশন লেটার

*মোটিভেশন লেটার

*কারিকুলাম ভিটা (সিভি)

*প্রশংসাপত্রের অনুলিপি

*পূর্ববর্তী বছরের আয়করের অনুলিপি

*পারিবারিক অবস্থার বিবরণ

Md.

Rashedul Alam Rasel

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ক স মব র গ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ