মার্কিন পুরস্কার পাওয়ায় জুলাই কন্যাদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
Published: 30th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ লাভ করায় জুলাই কন্যাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টা জুলাই কন্যাদের বলেন,“এ স্বীকৃতি আপনাদের অসাধারণ সাহস, নেতৃত্ব এবং অটুট প্রতিশ্রুতির এক গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে যা আপনারা প্রদর্শন করেছিলেন।”
তিনি বলেন, “সেই সংকটময় সময়ে আপনারা সত্যিকারের সাহসের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিলেন। আন্দোলনের নেতা হিসেবে আপনারা কেবল প্রতিরোধের প্রতীক ছিলেন না, বরং একটি সংকটে নিপতিত জাতির জন্য আশার আলো হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই পুরস্কারও স্বীকার করেছে যে, দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আপনারা সহিংস দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী ও পুরুষ সহযোদ্ধাদের মাঝে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন এবং সম্পূর্ণ ইন্টারনেট বন্ধের মধ্যেও ন্যায়বিচারের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার নতুন নতুন উপায় খুঁজে পেয়েছেন। আপনাদের এই শক্তি, দৃঢ়তা এবং সংকল্প বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “আপনাদের নিঃস্বার্থ প্রয়াস আমাদের সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ন্যায়বিচারের সন্ধান কখনো সহজ নয়, তবে তা সর্বদা মূল্যবান। আপনারা বিশ্বকে দেখিয়েছেন প্রকৃত নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগ কেমন হতে পারে। আপনাদের সাহসিকতা বাংলাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ও ন্যায়সংগত ভবিষ্যতের পথ তৈরি করেছে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনাদের প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত গর্বিত এবং এই সম্মান আপনারা যথার্থভাবেই অর্জন করেছেন, যা আপনাদের অবিচল চেতনার প্রতিফলন। অন্তর্বর্তী সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে এবং আমরা একসঙ্গে সেই গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবো, যা আপনারা সাহসিকতার সঙ্গে রক্ষা করেছেন। বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে আমরা আপনাদের নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছি।”
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপন দ র আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’