আইপিএল: অরেঞ্জ ও পার্পল ক্যাপের দৌড়ে কারা এগিয়ে
Published: 30th, March 2025 GMT
দলগুলোর লড়াই চলে পয়েন্ট তালিকায় ওপরে থাকার—শুধু তো সেরা চার নয়, কারা কোয়ালিফায়ার বা এলিমিনেটর খেলবেন, সেই হিসাবও আছে। একই সঙ্গে আইপিএলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে দুটি ক্যাপের জন্যও। ফিল্ডিংয়ের সময় মাথায় ওই ক্যাপ নিয়ে নামার আলাদা একটা মাহাত্ম্যও আছে।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের জন্য অরেঞ্জ ক্যাপ আর সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়া বোলারের পার্পল ক্যাপ—এই দুটিতে এখন পর্যন্ত কারা এগিয়ে? টুর্নামেন্ট সবে শুরু হলেও এ নিয়ে আগ্রহ আছে সবারই। আপাতত অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলা এই ব্যাটসম্যান দুই ম্যাচের প্রথমটিতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৩০ বলে ৭৫ ও দ্বিতীয়টিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে ২৬ বলে করেছেন ৭০ রান। দুই ইনিংসে ১৪৫ রান করা পুরান এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩টি ছক্কাও মেরেছেন। তাঁর চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটও (২৫৮.
দুই নম্বর জায়গাটিতে অবশ্য বদল এসেছে কাল। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ৪১ বলে ৭৪ রান করেছেন তিনি, আগের ম্যাচে করেন ৭৪ রান। দুই ম্যাচে ১৩৭ রান করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন তিনি। তাঁর অবশ্য ছক্কা ৮টি। দুই ম্যাচে ১২৪ রান করা মিচেল মার্শকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার প্রথম নামটি এখন আফগানিস্তানের নূর আহমেদ। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন নূর, পরের ম্যাচ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৩৬ রানে নেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে তাঁর উইকেট ৭টি। এই তালিকার দুই নম্বরে আছেন শার্দুল ঠাকুর—দুই ম্যাচে তাঁর ৬ উইকেট।
শেষ পর্যন্ত কে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকেন, সেটি অবশ্য দুই ম্যাচ পর বলে দেওয়াটা একটু মুশকিল।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।