রোনালদোর রেকর্ড ছুয়ে রিয়ালকে জেতালেন এমবাপ্পে
Published: 30th, March 2025 GMT
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে আদর্শ মানেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদে তার যোগ দেওয়ার পেছনেও রোনালদোর প্রভাব কম নয়। এবার সেই রোনালদোরই রেকর্ড ছুঁলেন ফরাসি তারকা। লেগানেসের বিপক্ষে জোড়া গোল করে রিয়ালকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন এমবাপ্পে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের ৩২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। তবে সেই লিড এক মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৩৩ মিনিটে ডিয়েগো গার্সিয়ার গোলে সমতা ফেরায় লেগানেস। বিরতিতে যাওয়ার আগেই চমক দেখায় অতিথিরা। ৪১ মিনিটে দানি রাবার গোলে ২-১ ব্যবধানে লিড নেয় লেগানেস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। ৪৭ মিনিটে জুড বেলিংহামের দুর্দান্ত গোল রিয়ালকে ফেরায় ম্যাচে। ২-২ সমতা নিয়ে এগোতে থাকে খেলা। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন এমবাপ্পে।
এই জোড়া গোলের মাধ্যমে নিজের প্রথম মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৩ গোলের মাইলফলকে পৌঁছালেন এমবাপ্পে। এই কীর্তি গড়তে তার লেগেছে ৪৪ ম্যাচ। ২০০৯-১০ মৌসুমে রোনালদোও রিয়ালে প্রথম বছরে ৩৩ গোল করেছিলেন। তবে মৌসুমের অনেকটা সময় বাকি থাকায় এমবাপের সামনে রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
রোনালদোর পাশে নাম লেখানো নিয়ে উচ্ছ্বসিত এমবাপে বলেন, ‘এই ম্যাচটি আমার জন্য বিশেষ কিছু। রোনালদোর সমান গোল করা গর্বের বিষয়। আমরা সবাই জানি, রিয়াল মাদ্রিদে রোনালদো কতটা গুরুত্বপূর্ণ! আমাদের মাঝে কথাও হয়, তিনি আমাকে পরামর্শ দেন। তবে শুধু গোল করলেই হবে না, শিরোপাও জিততে হবে।’
এমবাপ্পের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘সে দারুণ খেলছে, পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে, আর এটাই আমরা তার থেকে চাই।’
এই জয়ে ২৯ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পাশে বসেছে রিয়াল। তবে এক ম্যাচ কম খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে এখনো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বার্সা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প ন এমব প প গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’