চট্টগ্রাম নগরের পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল আটটায় অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে এই জামাত হবে।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, ঈদের জামাত আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে মসজিদ প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশের এলাকায়। আজ রোববার চাঁদ দেখা গেলে কাল সোমবার ঈদ হবে।

ঈদের দিন প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। একই মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে আটটায়। এই মসজিদের ঈদের জামাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরাও অংশ নেন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও এখানে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন।

নগরের প্রধান ঈদ জামাত কেন্দ্র করে মসজিদের আশপাশে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। নগর পুলিশের পক্ষ থেকে মসজিদ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে নগরের আরও আটটি মসজিদে ঈদের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হচ্ছে নগরের ২ নম্বর গেট এলাকার হজরত শেখ ফরিদ (র.

) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, পাঁচলাইশের সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, নিউমার্কেট এলাকার জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, খুলশীর দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরু বাজার জামে মসজিদ ও মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামসংলগ্ন)।

এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৪১টি ওয়ার্ডে একটি করে ঈদের জামাত মসজিদ ও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঈদ র জ ম ত মসজ দ নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ