রাজধানীতে ঈদ করবেন অধিকাংশ উপদেষ্টা
Published: 30th, March 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য রাজধানীতে ঈদ উদযাপন করবেন। উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে নিজ নিজ এলাকায় যাবেন।
সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা ড.
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ঢাকায় ঈদ করবেন। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন; বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন; অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ; পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ঢাকায় ঈদ করবেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম; নৌপরিবহন ও শ্রম উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন; সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী; শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারসহ অন্য উপদেষ্টারাও রাজধানীতে ঈদ উদযাপন করবেন বলে জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান রাইজিংবিডিকে বলেছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্যার রাজধানীতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এর পরে নিজ জেলা মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে যাবেন। সেখানে আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করবেন তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন বলেছেন, উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম স্যার রাজধানীতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। পরে তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করবেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ র ন ম জ র উপদ ষ ট কর মকর ত ঢ ক য় ঈদ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?