গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল চারজনের, আহত ৫
Published: 30th, March 2025 GMT
গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। আজ রোববার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রোববার সকাল সাড়ে সাতটার সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী থানাধীন দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের বেপরোয়া একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশায় তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। অপরদিকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাছা থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকায় একজন নিহত হন।
নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার ঘোড়িয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (২৮) এবং সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার চন্ডিপুর গ্রামের হিরা সরকার এর ছেলে (অটোচালক) হালিম ওরফে জুয়েল সরকার (২৫)।
আহতরা হলেন- নিহত দম্পতির ছেলে ও মেয়ে। অপর তিনজন হলেন- কোনাবাড়ী এলাকার এনামুল (৩০), মানিকগঞ্জ জেলার ধামরাইয়ের অজিত চরণ (৪৫) ও তার বাবা গোঙ্গাচরণ (৮০)।
স্থানীয়রা জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি অটোরিকশা উল্টো পথে আসছিল। এমন সময় তাকওয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রার দিকে আসার সময় কোনাবাড়ী দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় আসলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান, চালকসহ সাতজন আহত হন। হাসপাতালে নিলে তাদের মধ্যে তিনজন মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্ঘটনায় নিহত নাজমুল হোসেনের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাদের দুই সন্তানকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর দিকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাছা থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকায় সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পথচারী নিহত হন। তার পরিচয় জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান লিটন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন য় এল ক য় ত নজন
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।