সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছেন। গতকাল শনিবার নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন তিনি। এতে ২৩ জনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতন হয়। জানুয়ারি মাসে সংবিধান স্থগিত করে আহমেদ আল-শারাকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করতে চাপ দিয়ে আসছিল পশ্চিমা ও আরব দেশগুলো।

গত মাসে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় কয়েকটি শহরে শিয়াপন্থী আলাউইত সম্প্রদায়ের কয়েক শ মানুষকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর সরকার গঠনের চাপ আরও বেড়ে যায়।

আরও পড়ুনসিরিয়ায় ঘরে ঘরে ঢুকে হত্যা, মরদেহ পড়ে আছে খোলা মাঠে০৯ মার্চ ২০২৫

নতুন সরকারের পরিবহনমন্ত্রী করা হয়েছে আলাউইত সম্প্রদায়ের ইয়ারুব বাদরকে। অপরদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দ্রুজ সম্প্রদায়ের আমজাদ বদরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী নারী ও বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরোধী নারীনেত্রী হিন্দ কাবাওয়াতকে সমাজকল্যাণ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মেদ ইয়সর বারনিহকে অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে। মুরহাফ আবু কাসরা ও আসাদ আল-শিবানিকে যথাক্রমে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাশার আল-আসাদের পতনের পরপর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তাঁরা।

আরও পড়ুনবিদ্রোহী নেতা আল-শারা সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট, স্থগিত করা হলো সংবিধান ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো ক্রীড়া ও জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে। যার দায়িত্ব পেয়েছেন রায়েদ আল-সালেহ। আসাদ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জানুয়ারি থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক বিদ্রোহী নেতা আল-শারা। তিনি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন, যা সিরিয়ার বিধ্বস্ত জনপ্রশাসন পুনর্গঠনের পাশাপাশি নির্বাচনের আগপর্যন্ত আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবে। অন্তর্বর্তী সরকারে কাউকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়নি। আল-শারা নির্বাহী দায়িত্ব পালন করবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র র আল শ র মন ত র র গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ