খুলনায় চাঁদরাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে শাওন নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত পৌ‌নে ৮টার দি‌কে নগরীর রূপসা বেড়িবাঁধ সড়কের বরফ ক‌লের সাম‌নে এ ঘটনা‌ ঘ‌টে। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাওনকে উদ্ধার ক‌রে খুলনা মেডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে ভর্তি করেন। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।

শাওন নতুন বাজার লঞ্চ ঘাটের পাশে তরিক গলির বা‌সিন্দা মো.

শুকুর আলীর ছে‌লে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, শাওন বাবার মাছ ব্যবসা দেখাশুনা ক‌রেন। রাত পৌ‌নে ৮টার দি‌কে ওই যুবক বা‌ড়ির পাশে এক‌টি চা‌য়ের দোকা‌নে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সম‌য় তিন মোটরসাইকেলে করে ছয় যুবক তা‌কে গু‌লি করে। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হ‌য়ে তার ডান হা‌তে বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা এগি‌য়ে এলে দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ ক‌রে।

খুলনা থানার ওসি হাওলাদার স‌নোয়ার হুসাইন মাসুম ব‌লেন, শাওন‌কে সন্ত্রাসীরা বা‌ড়ির পা‌শেই গু‌লি ক‌রে‌ছে। কী কার‌ণে তা‌কে গু‌লি করা হ‌য়ে‌ছে, তা তদন্ত ক‌রে জানা যা‌বে। আসা‌মি‌দের গ্রেপ্তা‌রে অ‌ভিযান শুরু হ‌য়ে‌ছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ