দ. আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৮ টি-টোয়েন্টি, ৬ ওয়ানডে
Published: 30th, March 2025 GMT
আগামী মৌসুমে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য থাকবে দারুণ উত্তেজনা! ২০২৫ সালের আগস্ট থেকে ২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ১১টি শহর ও ১৪টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর জমজমাট আসর।
অস্ট্রেলিয়াজুড়ে দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন বহু প্রতীক্ষিত পুরুষদের অ্যাশেজ সিরিজ, যেখানে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ভারতকে নিয়ে হবে আট ম্যাচের হাইভোল্টেজ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয়টি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পুরুষদের সাদা বলের মৌসুম। পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ার নারী দলও মুখোমুখি হবে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে।
চলতি বছরের শুরুতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি সিরিজে রেকর্ডসংখ্যক দর্শক উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল। এবার অ্যাশেজের লড়াইয়ে সেই রেকর্ড ভাঙতে পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ২০১৭-১৮ সাল থেকে ধরে রাখা অ্যাশেজ ট্রফি রক্ষায় নামবে।
আরো পড়ুন:
স্টার্ক-ডু প্লেসিস-ম্যাকগার্কে হায়দরাবাদকে হারালো দিল্লি
নিউ জিল্যান্ডের ঘোরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরে ওয়াগনার
এই টেস্ট সিরিজ শুরু হবে পার্থ স্টেডিয়ামে ‘ওয়েস্ট টেস্ট’ দিয়ে। এরপর গ্যাবায় প্রথমবারের মতো দিবারাত্রির অ্যাশেজ টেস্ট, অ্যাডিলেড ওভালে প্রথমবারের মতো ক্রিসমাস টেস্ট এবং ঐতিহ্যবাহী বক্সিং ডে ও নিউ ইয়ার টেস্টের রোমাঞ্চও থাকছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ:
ম্যাচ | তারিখ | ভেন্যু |
প্রথম টি-টোয়েন্টি | ১০ আগস্ট | ডারউইন |
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি | ১২ আগস্ট | ডারউইন |
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি | ১৬ আগস্ট | কেয়ার্নস |
প্রথম ওয়ানডে ১৯ আগস্ট কেয়ার্নস
দ্বিতীয় ওয়ানডে ২২ আগস্ট ম্যাকেই
তৃতীয় ওয়ানডে ২৪ আগস্ট ম্যাকেই।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ:
প্রথম ওয়ানডে ১৯ অক্টোবর পার্থ
দ্বিতীয় ওয়ানডে ২৩ অক্টোবর অ্যাডিলেড
তৃতীয় ওয়ানডে ২৫ অক্টোবর সিডনি
প্রথম টি-টোয়েন্টি ২৯ অক্টোবর ক্যানবেরা
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ৩১ অক্টোবর মেলবোর্ন
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ২ নভেম্বর হোবার্ট
চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ৬ নভেম্বর গোল্ড কোস্ট
পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ৮ নভেম্বর ব্রিসবেন
অ্যাশেজ সিরিজ:
প্রথম টেস্ট ২১-২৫ নভেম্বর পার্থ
দ্বিতীয় টেস্ট ৪-৮ ডিসেম্বর ব্রিসবেন
তৃতীয় টেস্ট ১৭-২১ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড
চতুর্থ টেস্ট ২৬-৩০ ডিসেম্বর মেলবোর্ন
পঞ্চম টেস্ট ৪-৮ জানুয়ারি সিডনি।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগস ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল