ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবক আহত
Published: 30th, March 2025 GMT
খুলনায় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত আটটার দিকে নগরের নতুন বাজার লঞ্চঘাট এলাকার একটি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শাওন চৌধুরী (২৯) নতুন বাজার লঞ্চঘাট এলাকার মো. শুকুর চৌধুরীর ছেলে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছেন।
পুলিশ ও ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শাওন চৌধুরী তাঁর বাবার মাছের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। সন্ধ্যার পর নিজের বাসার কাছের একটি চায়ের দোকানে তিনি চা পান করছিলেন। এমন সময় তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন যুবক এসে তাঁর নাম ধরে ডাকতে থাকেন। সেখান থেকে শাওন চৌধুরী চলে যাওয়ার সময় একজন গুলি করেন। গুলিটি তাঁর বাঁ হাতের বাহু ভেদ করে ওপাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। গুলি করার পর দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে চলে যায়। পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সনোয়ার হুসাইন মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, শাওনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে চলে যায়। কী কারণে তাঁকে গুলি করা হয়েছে, তা তদন্ত করলে জানা যাবে। দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’