পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ উদ্যাপন
Published: 30th, March 2025 GMT
সাত বছর পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি সূত্রে পাওয়া পারিবারিক একটি ছবিতে বড় ছেলে তারেক রহমান, তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান ও বড় নাতনি জাইমা রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেখা গেছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে যুক্তরাজ্য ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলোতে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করা হয়েছে। জিয়া পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, লন্ডন সময় আজ রোববার সকালে ঈদের নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাকে নিয়ে ছবিটি তুলেছেন।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসেন খালেদা জিয়া। ওই সময় তিন মাস তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেন। এরপর দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করা হয়নি তাঁর।
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রোববার সকাল ১০টায় লন্ডনের কিংসমিডো স্টেডিয়ামের খোলা মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ উজ্জামান সোহেল জানিয়েছেন, তারেক রহমানের সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নিতে কিংসমিডো স্টেডিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক শ নেতা–কর্মী উপস্থিত হন।
লন্ডনের কিংসমিডো স্টেডিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা–কর্মীদের নিয়ে ঈদের জামাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন র ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব