খুলনায় চাঁদরাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে শাওন নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত পৌ‌নে ৮টার দি‌কে নগরীর রূপসা বেড়িবাঁধ সড়কের বরফ ক‌লের সাম‌নে এ ঘটনা‌ ঘ‌টে। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাওনকে উদ্ধার ক‌রে খুলনা মেডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে ভর্তি করেন। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।

শাওন নতুন বাজার লঞ্চ ঘাটের পাশে তরিক গলির বা‌সিন্দা মো.

শুকুর আলীর ছে‌লে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, শাওন বাবার মাছ ব্যবসা দেখাশুনা ক‌রেন। রাত পৌ‌নে ৮টার দি‌কে ওই যুবক বা‌ড়ির পাশে এক‌টি চা‌য়ের দোকা‌নে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সম‌য় তিন মোটরসাইকেলে করে ছয় যুবক তা‌কে গু‌লি করে। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হ‌য়ে তার ডান হা‌তে বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা এগি‌য়ে এলে দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ ক‌রে।

খুলনা থানার ওসি হাওলাদার স‌নোয়ার হুসাইন মাসুম ব‌লেন, শাওন‌কে সন্ত্রাসীরা বা‌ড়ির পা‌শেই গু‌লি ক‌রে‌ছে। কী কার‌ণে তা‌কে গু‌লি করা হ‌য়ে‌ছে, তা তদন্ত ক‌রে জানা যা‌বে। আসা‌মি‌দের গ্রেপ্তা‌রে অ‌ভিযান শুরু হ‌য়ে‌ছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ