Prothomalo:
2025-11-03@06:20:01 GMT

কেমন ছিল ’৭১–এর ঈদ

Published: 31st, March 2025 GMT

সাড়ে সাত কোটি বাঙালি স্বাধীন হয়েছিল ঠিক ৫৪ বছর আগে—১৯৭১ সালে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সেই বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হয়েছিল ২০ নভেম্বর, বারের হিসাবে দিনটি ছিল শনিবার। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, মা-বোনদের ধর্ষণ, মুক্তিবাহিনী ও সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালাচ্ছিল। তাই একাত্তরে বিজয়ের প্রতীক্ষায় থাকা স্বজন হারানো বাঙালির ঈদ–আনন্দ ‘ম্লান’ হয়ে গিয়েছিল বলে স্মৃতিচারণামূলক বিভিন্ন লেখা ও সাক্ষাৎকারে তথ্য পাওয়া যায়।

ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি যুদ্ধ হয়। বহু মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, আহত হন অনেকে। অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য যুদ্ধে মারা যান, অনেকেই আবার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়েন।

১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বাণী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্রিজে রাখা খুলি দুই মাস পর লাগানো হলো মামুনের মাথায়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষে গুরুতর আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথার খুলি সফলভাবে প্রতিস্থাপন হয়েছে। গত শনিবার নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর মাথার খুলির অংশটি প্রতিস্থাপন করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো।

এদিকে একই ঘটনায় গুরুতর আহত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদের অবস্থাও আগের চেয়ে ভালো বলে জানা গেছে। গত দুই মাস ধরে তাঁরা পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ইমতিয়াজকে বর্তমানে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে।

গত ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে পরদিন ৩১ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, তখনকার প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া ১০ থেকে ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দাও আহত হয়েছিলেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান মামুন ও ইমতিয়াজ। প্রথমে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় পার্কভিউ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাঁদের। খুলে রাখা হয় মামুনের মাথার খুলির অংশ। গত শনিবার মামুনের মাথার খুলির সেই অংশ প্রতিস্থাপন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাঈল হোসেন।

আরও পড়ুন‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মু. ইসমাঈল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অপারেশনের পর কিছু জটিলতা থাকে। তাই আমরা বিষয়টি সেভাবে জানাইনি। তবে অপারেশন সফল হয়েছে। দু-এক দিনের ভেতর তাঁদের ডিসচার্জ করা হবে। তখন আমরা তাঁদের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করব।’

আরও পড়ুন‘ভাইয়ের মাথার খুলি জোড়া লাগেনি, তাকে নিয়ে ফটোসেশন করছে’০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ