ঢাকায় সুলতানি মোঘল আমলের কায়দায় ঈদ আনন্দ মিছিল হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই আনন্দ মিছিলে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ, যারা একত্রিত হয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরের পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠে ঈদুল ফিতরের  জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাত শেষে সকাল ৯টায় সেখান থেকেই শুরু হয় বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিল।মিছিলটি আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক ধরে খামারবাড়ি মোড় হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদের জামাত শেষ হতেই মিছিলের মধ্যে শুরু হয় ব্যান্ডপার্টির বাজনা, এবং বাজতে থাকে জনপ্রিয় ঈদ গান ‘ও মোর রমজানের ওই রোজার শেষে’। এতে হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে ঈদের আনন্দে মেতে ওঠেন।

মিছিলে ছিল সুসজ্জিত পাঁচটি শাহী ঘোড়া, ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড পার্টি ও বাদ্যযন্ত্র। ঘোড়ার গাড়িগুলোর শোভায় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন। এছাড়া, সুলতানি-মোঘল আমলের ইতিহাসচিত্র সম্বলিত পাপেট শো আয়োজন করা হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের মাঝে বাড়তি আনন্দ যোগ করে। মিছিল শেষে অংশগ্রহণকারীদের সেমাই ও মিষ্টি খাওয়ানো হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই আয়োজন শেষ করা হয়।

অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, এমন আয়োজন যদি প্রতিবছর হয়, তাহলে ঈদের আনন্দ আরো বহুগুণ বেড়ে যাবে।

মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ বলেন, “এমন একটি আয়োজনে অংশ নিতে পেরে সত্যিই দারুণ লাগছে। আমাদের পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে এমন আয়োজন বারবার হওয়া উচিত।”

মিছিলে অংশ নেওয়া ইফতিয়াক আশিক নামের অপর একজন বলেন, “ঢাকায় অনেক বছর পর এভাবে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে, খুবই ভালো লাগছে। আমি পুরো মিছিলজুড়েই ছিলাম।”

ঈদের এই আয়োজনকে ঘিরে পুরো এলাকায় ছিল নিরাপত্তার কড়াকড়ি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন তৎপর।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ঢাকার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যগুলোও ফিরিয়ে আনা। এই ঈদ আনন্দ মিছিল তারই একটি অংশ। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এই আয়োজন করা হবে।”

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ আনন দ ম ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোসফটের ফ্রি অনলাইন কোর্স : ডেটা সায়েন্স–এআইসহ নানা বিষয়ে শেখার সুযোগ

ঘরে বসেই দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে মাইক্রোসফট। এই অনলাইন কোর্সগুলো edX প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্ত করা হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থী বা পেশাজীবীরা কোর্সগুলোতে অংশ নিতে পারবেন।

২০২৫ সালের এই প্রোগ্রামে ৬০টির বেশি অনলাইন কোর্স রয়েছে, যা বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ দেবে। দ্রুত পরিবর্তনশীল চাকরির বাজারে নিজেকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে সাহায্য করবে এসব কোর্স। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা Microsoft AI Skills Fest-এ অংশ নিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সম্পর্কিত বিশেষায়িত কোর্সও করতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের লক্ষ্য হলো আজকের চাকরির বাজারে চাহিদাসম্পন্ন প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করা। এই কোর্সগুলো শিক্ষার্থীরা নিজের সুবিধামতো সময়ে শিখতে পারবেন। এখানে থাকছে ক্লাউড কম্পিউটিং, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ডেটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং সাইবার সিকিউরিটিসহ নানা বিষয়ে হাতে–কলমে শেখার সুযোগ।

বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ

মাইক্রোসফটের অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞরা এই কোর্সগুলো তৈরি ও পরিচালনা করেন। ফলে অংশগ্রহণকারীরা বাস্তব জীবনের জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। যাঁরা প্রযুক্তির জগতে নতুন, তাঁরা বিগিনার লেভেলের কোর্স দিয়ে শুরু করতে পারবেন। আর যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁদের জন্য রয়েছে ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের কোর্স। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের নতুন অ্যাপ্লিকেশন, ডিজিটাল সেবা এবং উদ্ভাবনী সমাধান ডিজাইন করার দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

কোর্স কাঠামো ও সার্টিফিকেট

মাইক্রোসফটের এই অনলাইন কোর্সগুলো ফ্রি অডিট ট্র্যাকের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনা খরচে করা যাবে। তবে যাঁরা শিখে একটি অফিশিয়াল ভেরিফায়েড সার্টিফিকেট পেতে চান, তাঁরা নামমাত্র ফি দিয়ে সার্টিফিকেট নিতে পারবেন, যা চাকরি বা ক্যারিয়ারে বাড়তি গুরুত্ব দেবে।

এটি একটি MOOC (Massive Open Online Course) উদ্যোগ, যা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রি অনলাইন কোর্স ২০২৫-এর মতো বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

মাইক্রোসফটের কোর্স এখন করা যায় ঘরে বসেই

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনবে চোখের নতুন ড্রপ
  • মাইক্রোসফটের ফ্রি অনলাইন কোর্স : ডেটা সায়েন্স–এআইসহ নানা বিষয়ে শেখার সুযোগ