উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে। তবে এশিয়ার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেগুলো বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে। সর্বশেষ কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, এসব বিশ্ববিদ্যালয় শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। বিশ্বমানের শিক্ষা, অত্যাধুনিক গবেষণার সুযোগ এবং বৈচিত্র্যময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কারণে এশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার পরিবেশও চমৎকার। এখানে এশিয়ার শীর্ষ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো, সেটা দেখে নেওয়া যাক।

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়

চীনের এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। দেশটির অন্যতম প্রাচীন এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ে। কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩০টি কলেজ এবং ১২টি বিভাগ বিস্তৃত প্রোগ্রাম অফার করে বিশ্বের শিক্ষার্থীদের জন্য। ৯৩টি বিষয়ে স্নাতক ও ১৯৯টি বিষয়ে স্নাতকোত্তরে পড়ার সুযোগ আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

হংকং বিশ্ববিদ্যালয় (হংকং)

হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত। হংকং বিশ্ববিদ্যালয় হংকংয়ের প্রথম ও প্রাচীনতম একটি বিশ্ববিদ্যালয়। একাডেমিক কারণে এশিয়ার অন্যতম এই উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ৯৪টি দেশের ৩৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্যদের মধ্য ৭১ শতাংশ বিদেশি।

ফাইল ছবি: রয়টার্স.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ