শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান
Published: 31st, March 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারকে ঈদ উপহার দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (৩০ মার্চ) রংপুরের পীরগঞ্জে বাবনপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন উপাচার্য প্রফেসর মো. শওকাত আলী।
এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ঈদ উপহার শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। উপাচার্য শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড.
উপাচার্য বলেন, “শহীদ আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য। আবু সাঈদকে ছাড়া তার পরিবার প্রথমবারের মতো ঈদ পালন করবে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দেওয়ার জন্য এখানে এসেছি।”
তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রথমবারের মতো রমজান মাসে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায় রয়েছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের মতো যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আবু সাঈদসহ জুলাই বিপ্লবে শহীদদের হত্যাকারীদের যথাযথ বিচার এখনো দেখতে পারিনি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও দেশবাসী ঈদের চেয়েও বেশি আনন্দ অনুভব করবে।”
গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদ।
তার মৃত্যুর পর সারা দেশে আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।
ঢাকা/গাজী আজম/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঈদ র পর ব র ব গম র ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন