সাম্প্রতিক সময়ে একেবারেই ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছে না পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার কারণে সাবেকদের বেশ সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে বর্তমান ক্রিকেটারদের।

সমালোচনায় আপত্তি না থাকলেও অনেক সময় সমালোচনা মাত্রা ছাড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ বর্তমান ক্রিকেটারদের। ঈদ উপলক্ষে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) উদ্যোগে আয়োজিত এক আড্ডায় সাবেক ক্রিকেটারদের একহাত নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহ। দেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা খেলায় ভুল ধরার পরিবর্তে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন নাসিম।

ঈদ উপলক্ষে আড্ডাটিতে নাসিম ছাড়াও অতিথি হিসেবে ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ব্যাটসম্যান ফখর জামান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।

আরও পড়ুনপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত নন পেসার নাসিম শাহ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অনুষ্ঠানের শেষ দিকে টেলিভিশন টক শোতে হওয়া সমালোচনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাসিম বলেছেন, ‘একজন ভক্ত যখন এমন কিছু বলেন (ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মন্তব্য), আপনি ভাবতে পারেন, “ওহ, এই লোক কখনো ক্রিকেট খেলেনি।” আমরা যখন বাসায় যাই, তখন আমাদের ভাইয়েরাও অনেক সময় এমন এমন কথা বলে, যা শুনে আমরা বলি, “আচ্ছা ঠিক আছে, সে কখনো ক্রিকেট খেলেনি।”’

নাসিম আরও যোগ করে বলেন, ‘কিন্তু এমন, কেউ যিনি ১০ থেকে ১৫ বছর ক্রিকেট খেলেছেন (তাঁদের বলাটা দুঃখজনক)। দেখুন, পারফরম্যান্স নিয়ে আপনি কথা বলুন, কেউ ভালো বোলিং করছে না সেটা নিয়ে কথা বলুন, কেউ ভালো ব্যাটিং করছে না সেটা নিয়েও বলতে পারেন। কীভাবে ভালো হতে পারে, কোথায় ভুল ছিল, সেসব নিয়ে আলাপ হোক। কিন্তু অনেক বেশি ব্যক্তিগত বিষয় কথা বলা (উচিত নয়)।’

আরও পড়ুন‘৮ কেজি খাসির মাংস খাওয়া’ বাবরদের ফিল্ডিংকে ‘অর্ডিনারি’ বললেন গম্ভীর ২৫ অক্টোবর ২০২৩

সাবেক ক্রিকেটাররা কী ধরনের সমালোচনা করেন, তা জানিয়ে নাসিম বলেন, ‘কেউ চুল কীভাবে আঁচড়েছে, কথা কীভাবে বলছে, শেভ কীভাবে করছে—এসব নিয়ে কথা বলাটা ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করে। অথচ তাদের আমরা কিংবদন্তি হিসেবে দেখি। এখন আমরা কি তাদের এড়িয়ে যেতে শুরু করব? কারণ, তারা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলে। আমাদের মনে হয়, “আরে এরাও আমার ভাই বা সাধারণ দর্শকদের মতো কথা বলছে।” সমর্থকদের বিষয়টা মানা যায়। কিন্তু ১০ থেকে ১৫ বছর খেলার পর এভাবে যদি কেউ কথা বলে, তবে সেটা মানা যায় না।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়

শ্রম আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ কবে হবে, সে বিষয়ে আর সময়সীমার কথা বলছে না শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গত নভেম্বর মাসে এই মন্ত্রণালয় বলেছিল, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এ অধ্যাদেশ হবে। মার্চ শেষে এপ্রিলও শেষ হচ্ছে আজ বুধবার।

সচিবালয়ে আজ ‘মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আইন সংশোধনীর ক্ষেত্রে সময়সীমা থাকার পক্ষে নন তিনি। শ্রমিক–মালিকদের স্বার্থ রক্ষাসহ শিগগিরই তা করা হবে। বিষয়টি এখন কোন প্রক্রিয়ায় আছে, তা বলতে রাজি হননি শ্রম উপদেষ্টা।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’। তিনি আরও বলেন, ‘একসময় স্লোগান ছিল দুনিয়ার মজদুর, এক হও।’ এখন তা বদলে গেছে। এখন হবে ‘দুনিয়ার মালিক-শ্রমিক, এক হও’। এখন ভালো মালিকেরা শ্রমিকদের সন্তানের মতো মনে করেন।

প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে ১০১টি ধারা ও উপধারা সংশোধন হবে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১০ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

আইএলওর বৈঠকে যোগ দিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে যে দলটি জেনেভা সফর করে, সেখানে শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হোসেন সরকার ও শ্রম উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর তৎকালীন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আইএলওর গভর্নিং বডির বৈঠক থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন হবে। উপদেষ্টা তখন এ–ও বলেছিলেন, আগের সরকারের আইনমন্ত্রীর (আনিসুল হক) নেতৃত্বাধীন দলকে আইএলও পর্ষদে অপদস্থ করা হয়েছিল। অথচ এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো নিয়ে বরং প্রশংসা করা হয়েছে। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো তুলে নেওয়ার কথাও বলেছিল।

জানা গেছে, শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে ঘাটতির অভিযোগ এনে জাপানসহ ছয়টি দেশের পক্ষ থেকে আইএলওতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো চলমান।

আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এদিকে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদকে (টিসিসি) শ্রমিকপক্ষ জানিয়েছে, আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে প্রধানত পোশাক খাতের শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মে দিবস আর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ–স্কুল পর্যায়ে রচনা ও প্রবন্ধ লেখার ওপরে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।

এ ছাড়া শ্রম অধিকার বিষয়ে প্রকাশিত বা প্রচারিত মানসম্মত সংবাদ বা স্থিরচিত্র যাচাই করে সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের দেওয়া হবে পুরস্কার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • কর্মক্ষেত্রে অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন
  • শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়
  • শিগগিরই শ্রম আইন সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা 
  • আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে শিল্পকলা একাডেমির  দুই দিনের আয়োজন
  • মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের
  • আইনগত সহায়তা দিবসে আলোচনা সভা-শোভাযাত্রা
  • আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন