ঈদের দিন ঘুরতে বেরিয়ে প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের
Published: 31st, March 2025 GMT
বগুড়ায় ঈদের দিন ঘুরতে বেরিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে শেরপুর উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের জামতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জামতলা এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে শাহ আলম (৩২) ও তার মেয়ে সেজদান আলম সামান্তা (৪)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন শাহ আলম, তার মেয়ে ও শ্বশুর। জামতলা এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অজ্ঞাত গাড়ি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়। আহত শাহ আলমের শ্বশুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরো পড়ুন:
‘ঈদযাত্রায় এবারের মতো স্বস্তি আর কখনো পাইনি’
ঝিনাইদহে ট্রাকের ধাক্কায় গরু ব্যবসায়ী নিহত
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক আব্দুল খালেক বলেন, ‘‘আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’’
ঢাকা/এনাম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’