পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ঈদের দিন দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তুহিন হোসেন (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে ইন্দুরকানী-কলারণ সড়কের চরবলেশ্বর ফকিরবাড়ী মোড়ে এ দুর্ঘটনায় তুহিনের স্ত্রী মিম আক্তার (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন।

জানা যায়, তুহীন ঈদের দিন ঢেপসাবুনিয়ার বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে চন্ডিপুর ঘুরতে যাচ্ছিলেন। তারা চরবলেশ্বর গ্রামের ফকিরবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে স্ত্রীসহ তুহিন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তুহিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মিম চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো.

রেজা তুহিনের নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ