ঈদের ছুটিতে বিনোদনকেন্দ্র ও রিসোর্টের ব্যবসা কেমন, আছে নানা অফার
Published: 31st, March 2025 GMT
এবার ঈদুল ফিতরে পাওয়া গেছে ৯ দিনের লম্বা ছুটি। এ সুযোগ কাজে লাগাতে অনেকেই বিভিন্ন পরিকল্পনা করছেন। কেউ চিন্তা করছেন বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে যাওয়ার, আবার কেউ যেতে চান কোনো পর্যটন স্থানে। অন্যদিকে গ্রাহকদের টানতে বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র ও হোটেল-রিসোর্টও দিচ্ছে বিভিন্ন অফার।
বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে তারা আলাদা প্রস্তুতি নিয়েছে। নতুন করে বিভিন্ন রাইড, গেম ও প্যাকেজ যুক্ত করেছে। আবার হোটেল-রিসোর্টগুলোও বিভিন্ন মূল্য ছাড়সহ ঈদ স্পেশাল প্যাকেজ সুবিধা দিচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার সময় থেকে তাঁদের ব্যবসা একপ্রকার মন্দা যাচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হওয়া, মূল্যস্ফীতি প্রভৃতি কারণে গ্রাহকদের চাহিদাও কম ছিল। তবে এবার পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। গ্রাহকদের থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি তাঁদের।
বিনোদনকেন্দ্রের নানা প্যাকেজ
ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে অনেকেই বিনোদনকেন্দ্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। বিশেষ করে পরিবারের ছোটদের বিশেষ চাহিদা থাকে এ বিষয়ে। রাজধানীর অভ্যন্তরে ও আশপাশের এলাকায় এ রকম বেশ কিছু বিনোদনকেন্দ্র রয়েছে।
ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়ায় অবস্থিত ফ্যান্টাসি কিংডম ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন অফার দিচ্ছে। ফ্যান্টাসি কিংডম ঈদে তিনটি নতুন রাইড নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে সবার জন্য রয়েছে ড্রপ অ্যান্ড টুইস্ট রাইড, টপ স্পিন রাইড ও ভিআর ৩৬০ রাইড। এ ছাড়া ছোটদের জন্যও নতুন রাইড রয়েছে।
ফ্যান্টাসি কিংডমের এক কর্মকর্তা জানান, তাঁরা গ্রাহকদের জন্য তিনটি প্যাকেজে বিনোদনের সব সুবিধা রেখেছেন। প্রতিটি প্যাকেজের মূল্য সর্বনিম্ন ১ হাজার ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে বিভিন্ন রাইডে চড়া, ওয়াটার কিংডমে যাওয়া, পার্কটির প্রবেশ ফি ও দুপুরের খাবারের টাকা সংযুক্ত রয়েছে। ফ্যান্টাসি কিংডমে ২৬টি রাইড রয়েছে। একেকটি প্যাকেজে ১২টির মতো রাইড পাওয়া যায়। গ্রাহকেরা সেখানে উপস্থিত হয়েই প্যাকেজ কিনতে পারবেন; আগে থেকেও বুকিং দিতে পারেন।
ঈদের বন্ধে রাজধানী ও এর আশাপাশের বিভিন্ন বিনোদনপার্কে মানুষের ভীড় বেড়েছে। বিশেষ করে পরিবারের ছোটদের নিয়ে এসব বিনোদন পার্কে ঘুরতে যান অভিভাবকেরা। গতকাল বিকেলে ঢাকার আশুলিয়ায় অবস্থিত বিনোদন পার্ক ফ্যান্টাসি কিংডমেও এমন ভীড় দেখা গেছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ন দনক ন দ র গ র হকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী