মাগুরার সেই শিশুর বাড়িতে নেই ঈদ আনন্দ, কান্না করছেন মা
Published: 31st, March 2025 GMT
সন্তানের স্মৃতি ও শোকের বোঝাই এবারের ঈদে সম্বল মাগুরার শ্রীপুরের জারিয়া গ্রামে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারে। সবাই যখন ঈদের আনন্দে মেতে আছেন, তখন শিশুটির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পুরনো কথা মনে করে শুধুই কান্না করছেন মা আয়েশা আক্তার।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশুটির মা বলেন, পরিবার থেকে যদি একটা বাচ্চা চলে যায়, তার মা–বাবা কি কোন দিন ঈদ করতে পারে। আমি মা হয়ে কিভাবে ঈদ করব। তবে ঈদের দিনে শিশুটির প্রিয় খাবার ছিল খিঁচুরি, এই খাবার সে অনেক পছন্দ করত।
প্রতিবেশিরা জানান, শিশুটির পরিবার গরীব। মেয়ের শোকে ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে গোটা পরিবারে। শিশুটির মায়ের কান্না যেন থাকছেই না। বছর ঘুরে ঈদ আসলেও মেয়েটি মারা যাওয়ায় বাবাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়। প্রতিবেশিরাই তার খোঁজ-খবর রাখছে।
বড় বোন হামিদা সমকালকে বলেন, ঈদের আগের চাঁদ রাতে তার হাতে মেহেদি রঙে দুই হাত রাঙিয়ে দিতাম। সে নেই। তার জন্য মন খারাপ। ঈদের দিন ছোট বোনের সঙ্গে অনেক মজা করেছি। আমরা দুই বোন একসঙ্গে ঘুরতে যেতাম। আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যেতাম।
প্রসঙ্গত, মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের এক শিশু। ঘটনার পর তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ সে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে প্রধান করে চারজনের নামে মামলা করেন শিশুটির মা আয়েশা আক্তার। এরই মধ্যে রিমান্ডে প্রধান আসামি হিটু শেখ আদলতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩
নরসিংদীর পলাশে শোডাউনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইসমাইল হোসেন (২৬) নামে এক ছাত্রদল কর্মী গুলিবিদ্ধসহ তিন জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৫ জুন) রাতে উপজেলার বিএডিসি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ইসমাইল হোসেন উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী ও ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর মহল্লার আব্দুর রহিমের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে উপজেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শোডাউনের উদ্দেশে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএডিসি মোড় এলাকায় গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের নেতৃত্বে তার সমর্থকদের একটি শোডাউনের মুখোমুখি হয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেন ও বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলসহ আরো একজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ছাত্রদল কর্মী ইসমাইলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘‘জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল নির্বাচনি এলাকায় শোডাউন করতে যান। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে তিন জন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’
ঢাকা/হৃদয়/রাজীব