দেশব্যাপী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। অত্যন্ত আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন ক্রিকেটাররা। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থক ও দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তাও দিচ্ছেন ক্রিকেটাররা।

এই যেমন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা তামিম ইকবাল লিখেছেন, ‘‘এই ঈদে আল্লাহ আপনার সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনুক। ঈদ মোবারক।’’

অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, ‘‘আসসালামু আ’লাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ। তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম! আল্লাহ আমাদের সকল প্রার্থনা, ইবাদত ও ভালো কাজ কবুল করুক। আমাদের ও আমাদের পাপসমূহ মার্জনা করুক এবং আমাদের ইহকাল ও পরকালিন জীবনে সাফল্য দান করুক।’’

আরো পড়ুন:

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন সাকিব

দ.

আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৮ টি-টোয়েন্টি, ৬ ওয়ানডে

অবসর ঘোষণা দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একবাক্যে লিখেছেন, ‘‘ঈদের সুন্দর সকাল।’’

তারকা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ লিখেছেন, ‘‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।’’

তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, ‘‘আসসালামুআলাইকুম, সবাইকে ঈদুল ফিতরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক টু এভরিওয়ান।’’

স্ত্রী-সন্তানসহ নিজের একটি ছবি দিয়ে লিটন কুমার দাস লিখেন, ‘‘আমাদের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদ মোবারক। আশা করি এই উপলক্ষ আমাদের সবাইকে আরও বিনয়ী ও একে অপরের প্রতি সহায়ক হতে সাহায্য করবে। আমরা সবাই মিলে শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়তে পারি।’’

পেসার শরীফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘ঈদ মোবারক। তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম!’’

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ