ঈদের দিন জাফলংয়ে বেড়াতে গিয়ে কিশোর পর্যটকের মৃত্যু
Published: 31st, March 2025 GMT
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে ঈদের দিন বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক কিশোর-পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নয়ন মিয়া (১৩) নামের ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাত–আটজন সমবয়সী বন্ধুর সঙ্গে নয়ন জাফলংয়ে বেড়াতে আসে। পিয়াইন নদের জিরো পয়েন্টে নৌকা ভাড়া করে তারা বেড়াতে যায়। এ সময় তারা গোসলের জন্য পানিতে নামে। একপর্যায়ে নয়ন পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। পরে নয়নের সঙ্গী ও স্থানীয় লোকজন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ রাত ১০টার দিকে প্রথম আলোকে জানান, নয়ন মিয়ার বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। খবর পেয়ে নয়নের বাবা এসে ময়নাতদন্ত ও কোনো ধরনের মামলা দায়ের ছাড়া তার লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেন। এ আবেদন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিএম) কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলেই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’