তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে প্রাণ হারাল দুজন
Published: 1st, April 2025 GMT
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ দুই কিশোর নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের কাহালগাঁও ভাওড়পাড়া এলাকার আজহারুল ইসলামের ছেলে আশিকুর হক (১৬) ও একই গ্রামের মক্তবপাড়া এলাকার আকরামের ছেলে মিনহাজ (১৬)। আশিকুর এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিন মোটরসাইকেলে তিন বন্ধু পাশের টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর বাজারের কাছে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মিনহাজ মারা যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আশিকুর মারা যায়। এ ঘটনায় তাদের সঙ্গে থাকা অপর বন্ধু জিহাদ গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে সখিপুর থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল